চুয়াডাঙ্গার আলোচিত স্কুলছাত্র সজীবকে অপহরণের পর হত্যা মামলার অন্যতম দুই আসামী সবুজ (২৪) ও শাকিল (২৩) র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শান্তিপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে নিজেদের দুই সদস্য শাহিন ও শামীম আহত হওয়ার দাবি করেছে র্যাব।
এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি রিভলবর, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২টি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
নিহত সবুজ দামুড়হুদা উপজেলা শহরের মৃত হামিদুল ইসলামের ও শাকিল একই এলাকার আব্দুল কাদের মন্ডলের ছেলে।
র্যাব জানায়, বুধবার মধ্যরাতে র্যাবের একটি টহল দল চুয়াডাঙ্গায় টহলে বের হলে ভোরে ওই এলাকার বেশ কয়েকজন র্যাবের ওপর গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে র্যাব ওই স্থানে মৃত প্রায় অবস্থায় সবুজ ও শাকিলকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুই জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর উপ-পরিচালক মেজর মনির আহমেদ জানান, নিহত দুইজনই দামুড়হুদায় চাঞ্চল্যকর সজীব অপহরণ ও খুনের মামলার আসামী।
চুয়াডাঙ্গা ভি.জে. স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজীবকে গত ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলা বৃক্ষমেলা থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ।
ঘটনার ৩২ দিন পর গত ৩১ আগষ্ট চুয়াডাঙ্গা শহরের সিএ্যান্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে সজীবের গলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
এরআগে গত ১৬ সেপ্টম্বর আলোচিত এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিবুল র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।