প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবে তার সঙ্গে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প থাকলেও স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকেননি তিনি। তবে সাবেক মডেল মেলানিয়া মুসলিমপ্রধান দেশ সৌদি সফরে সবার চিন্তাভাবনার অবসান করে পোশাকের দিকে বেশ লক্ষ্যই রেখেছেন।
সৌদি সফরে মেলানিয়া কেমন পোশাক পরবেন – সেটি নিয়ে সফর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছিল। এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৌদিতে সস্ত্রীক সফরে মিশেল মাথায় স্কার্ফ না পরায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
ট্রাম্প তখন নিজেই এর বিরোধিতা করে টুইট করেছিলেন, অনেকেই বলছে মিসেস ওবামা সৌদি আরবে স্কার্ফ পরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চমৎকার কাজ করেছেন। কিন্তু তারা (আরবরা) আসলে এতে অপমানিত হয়েছে। আমাদের এমনিই যথেষ্ট শত্রু আছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সবাই আশা করেছিল, ট্রাম্পের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি হয়ে যখন সৌদি আরব বা অন্যান্য আরব দেশ সফরে যাবেন, তিনি নিশ্চয় স্কার্ফ বা ওড়না পরেই যাবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে তার উল্টো।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে রওনা দেয়ার সময় মেলানিয়া ট্রাম্পের পরনে ছিল একটি অফহোয়াইট ফুলহাতা টপ এবং কমলা লেদার স্কার্ট। আর সৌদি সময় শনিবার সকালে যখন প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি ও তাদের বহর নিয়ে বিশেষ উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ান পৌঁছায়, তখন দেখা গেল- মেলানিয়া প্রায় ঢোলা পুরোপুরি কালো একটি পোশাক পরে আছেন। আর কোমরে ছিল সোনালি মোটা বেল্ট।
হাত-পা ঢাকা পোশাকটি মেলানিয়ার রক্ষণশীল ধাঁচের পোশাকগুলোর একটি হলেও সঙ্গে কোনো স্কার্ফ বা ওড়না জাতীয় কিছু ছিল না। সফরসঙ্গী ট্রাম্পকন্য ইভানকা ট্রাম্পও কোনো স্কার্ফ বা হিজাব পরেননি। মাথার চুল না ঢেকে সৌদি আরবে অবতরণ করায়, বিশেষ করে মেলানিয়ার বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
তবে সফরের আগে দেয়া এক বক্তব্যে অবশ্য সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল-জুবায়ের বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে বলেন, মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে তার দৈনন্দিন ফ্যাশন তালিকার বাইরে যেতে হবে না। ‘আমরা তাকে যে কোনো স্টাইলের পোশাকেই স্বাগত জানাই।’
আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলনে অংশ নেয়ার পর আট দিনের সফরে সৌদি থেকে ইসরায়েল হয়ে ভ্যাটিকান, বেলজিয়াম ও সিসিলি সফর করবেন ট্রাম্প।