রান্নার জ্বালানির বিকল্প হিসেবে সৌরশক্তিনির্ভর চুলা চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রামীণ নারীদের রান্নার সমস্যা মেটাতে পারলে তাদের মেধা ও শ্রমকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পুরোপুরি কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সৌর চুলা প্রযুক্তিতে সহায়তার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদেরও আহ্বান জানান তিনি।
পুরনো ধাঁচের চুলোয় রান্নার ঝামেলা অনেক। সময়, শ্রম সবই লাগে বেশি। এ যুগেও সেই যন্ত্রণা পোহান গ্রামীণ নারীরা। আর বিশ্বজুড়েই এখন নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। দেশেও বাতি জ্বালানো থেকে শুরু করে চলছে সেচপাম্প।
কৃষিমন্ত্রীর প্রশ্ন, বিদেশে পানি গরমের জন্য সৌরশক্তি ব্যবহার হলে দেশের রান্নার চুলোর জন্য তা কাজে লাগানো যাবে না কেন? এই প্রযুক্তিকে নিজের মতো পরিবর্তন করে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে সরকার যৌথ বিনিয়োগে যাবে।
তিনি মনে করেন, গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে পুরোপুরি সফল হতে হলে গ্রামীণ নারীদের উন্নয়নে যুক্ত করতে হবে। সে জন্যই গৃহস্থালি কাজের জটিলতা কমানো প্রয়োজন। যতোদিন গ্রামের এই জ্বালানী সমস্যার সমাধান না করা যাবে, ততোদিন গ্রামীণ মেয়েদের সার্বিক কর্মস্পৃহা ও ক্ষমতাকে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিনান্সের আয়োজনে অতিদারিদ্র্য নিরসন প্রকল্পের আলোচনায় বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপে হার কমলেও এখনো চার কোটি মানুষ দরিদ্র্যসীমার নিচে।