দল থেকে বাদ পড়লে ক্রিকেটাররা হতাশ হন, নিরাশয় ডুবে যান। উদ্দীপনা হারানোর সঙ্গে হারিয়ে বসেন ক্যারিয়ার পথই। তবে মানসম্মত ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে হয় ব্যতিক্রম। সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হককে সেই মানের ক্রিকেটারই মনে করেন স্টিভ রোডস। বাংলাদেশ দলের হেড কোচ বলেছেন, যারা দল থেকে বাদ পড়লেও হতাশ বা নিরাশ হবেন না সৌম্য-মুমিনুল সে মানেরই ক্রিকেটার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গা হয়নি ওপেনার সৌম্য ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুলের। বৃহস্পতিবার মিরপুরে টাইগার দলের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন রোডস। বলেছেন, সৌম্য-মুমিনুল পারফর্ম করে ঠিকই দলে ফিরবে।
‘খেলোয়াড়রা যখন দল থেকে বাদ পড়ে, তখন একাকিত্ব বোধ করে। হতাশ ও নিরাশ হয় এবং অবহেলিত বোধ করে। কিন্তু সৌম্য এবং মুমিনুলের মতো কোয়ালিটি সম্পন্ন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে আমরা এটা আশা করি না। কারণ তারা তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে যেকোনো সময় দলে ফিরে আসবে।’
সৌম্য-মুমিনুলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে সিরিজের ওয়ানডে থেকে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। তিনিও একইভাবে দলে ফিরবেন বলে আশা রোডসের।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের আলোচনার মধ্যেই চলছে জাতীয় ক্রিকেট। টাইগার কোচ রোডস লিগে খেলা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ব্যাপারেও খোঁজ রাখছেন, ‘আমরা একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে। তার আগে জাতীয় লিগে সৌম্যর দুটি ৭০’র বেশি স্কোর ও বল হাতে ৫ উইকেট আমাকে আনন্দিত করেছে। তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। আমি তার সঙ্গে যোগাযোগও করেছি। তিনি এমন মাপের খেলোয়াড়, যিনি যেকোনো সময় দলের অন্য খেলোয়াড়কে ধাক্কা দিতে পারে।’
জাতীয় দলে না থাকলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের নেতৃত্ব দেবেন সৌম্য। সিরিজ শুরুর আগে জাতীয় লিগের পর নিজেকে প্রমাণ করার আরও একটা সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। কোচও বলছেন তাকে আশা রাখতে, ‘তাকে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে এবং তার সঙ্গে অন্যদেরও, যারা মূল দলে ভালো করতে পারেনি। তাহলেই তারা আবার দলে ফিরে আসতে পারবে।’
তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে গত মঙ্গলবার ঢাকায় পা রেখেছে জিম্বাবুয়ে দল। প্রথম ওয়ানডে হবে ২১ অক্টোবর, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ২৪ অক্টোবর দ্বিতীয় ও ২৬ অক্টোবর তৃতীয় ওয়ানডে হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৩-৭ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গড়াবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ১১-১৫ নভেম্বর মিরপুরে।