ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরিতে ভর করে শেষ ম্যাচে সফরকারীদের ৮ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ জিতে নিয়েছে টাইগাররা। এটি বাংলাদেশের ১৭তম ওয়ানডে সিরিজ জয়। আর দশম হোয়াইটওয়াশ।
বাংলাদেশের বোলিং তোপে প্রথম ব্যাট করে ২৫০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ৬৩ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এর আগে অধিনায়ক আজহার আলির সেঞ্চুরি (১০০) ও হারিস সোহেলে হাফসেঞ্চুরির (৫২) ওপর ভর করে এক ওভার বাকি থাকতে ২৫০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন ও আরাফাত সানি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটু ধীরে হলেও শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ১৪৫ রান করার এই জুটি ভাঙেন জুনাইদ খান।৬০ বলে ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফসেঞ্চুরি করেন তামিম। ফেরার আগে ৭৬ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন টাইগার ওপেনার।
তামিম ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। ৬৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১০৩ রানে জুনাইদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ১৩টি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
তামিম ফেরার পর ক্রিজে সেট হতে পারেননি দলের বিশ্বকাপের নায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১০ মোকাবেলা করে ৪ রান করার পর জুনাইদের বলে বোল্ড হন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে সৌম্যর সাথে জুটি বাধেন দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ ইনিংসে আর কোন বিপদের আঁচ লাগতে দেননি তারা দু’জন। ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক-সৌম্য। এক রানের জন্য ক্যারিয়ারের ২৩তম হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করতে পারেননি টাইগার উইকেটরক্ষক।
অনুমিতভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে হার না মানা ১১ রানের ইনিংস খেলা সৌম্য সরকারের হাতে। বাংলাদেশের আউট হওয়া দুটি উইকেটই নেন জুনাইদ খান।
দুই দলের মধ্যেকার একমাত্র টি-২০ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৪ এপ্রিল (শুক্রবার) মিরপুরে।