২০০৫ সালের ৩ মার্চ জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ১৫ বছর পর আরেক মার্চে এই ক্রিকেটার লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করতে যাচ্ছেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। বুধবার ফতুল্লায় ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে ম্যাচটি আবাহনী অধিনায়কের ব্যক্তিগত ৩০০তম ম্যাচ।
রোববার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচ সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন মুশফিক। আবাহনীর জার্সিতে প্রথমবার নেমেই খেলেছেন ১২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার দলও জিতেছে বড় ব্যবধানে। দারুণ একটি দিন কাটানো মুশফিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলে জানতে চাওয়া হয় ম্যাচ খেলায় ৩০০ সংখ্যাটি নিয়ে মতামত।
‘এটা তো সৌভাগ্য। খুব ভালো লাগছে। আমি মনে করি আমাদের দলে যে তরুণ খেলোয়াড়রাই আছে হয়ত বা বয়স কম কিন্তু অনেক পরিণত, ওরা অনেক ম্যাচ খেলে কিন্তু। পেছনে অনেক ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে। বয়স যতই হোক পেছনে ম্যাচ খেলার যদি অনেক অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে শেখা যায়। ভুল বেরিয়ে আসে এবং পেছনের অভিজ্ঞতায় সামনে কী করা উচিত, কীভাবে ভালো করা যায় সে রাস্তা বেরিয়ে আসে। সে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এটা (৩০০ ম্যাচ) অবশ্যই ভালো। দেখা যাক ৪০০-৫০০ করা যায় কিনা।’
১৫ বছর পেরিয়ে আসা ক্যারিয়ারে ৩২ বছর বয়সী মুশফিক ২৯৯টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করেছেন ৯১৯১ রান। সেঞ্চুরি ১২টি, ফিফটি ৫৭টি। অন্যান্য সংস্করণের চেয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটেই তার সবচেয়ে বেশি গড় (৩৯.৪৪)।