আরব ইন্টেলিজেন্সের বরাতে তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কাইহান জানিয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এপ্রিলের শেষের দিকে এক গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। এ কারণে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইরানি পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে তাদের এডিটর ইন চিফ হোসেন শরীয়তমাদারি বলেন: একটি গোপন তথ্যে এই গোয়েন্দা সংস্থা দেশের বড় কর্মকর্তাদের জানিয়েছে ২১ এপ্রিল রিয়াদের সংঘর্ষের সময়ে অন্তত দুটি বুলেট তার বুকে বিঁধেছে। তাতে হতে পারে তিনি মারা গেছেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের কোনো নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, সৌদি সেনারা রাজপ্রাসাদের আশেপাশে কোনো অনিবন্ধিত খেলনা ড্রোনের সঙ্গে মোকাবেলা করছিল।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সেকথা বলছে না। সেখানে ভয়াবহ গোলাগুলির চিত্র দেখা দেয়, ট্যাঙ্ক এবং অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের যানও দেখা যায় প্রাসাদের আশেপাশে। এসব থেকেই অনেকের ধারণা, সেখানে হয় অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে বা ভবনের ভেতর থেকেই প্রতিশোধমূলক কোনো আচরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
ফারস নিউজ এজেন্সির বুধবারের একটি খবরের পরিপ্রেক্ষিতে কাইহানের সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন তোলা হয়, ৩২ বয়স বয়সী সৌদি রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী এই যুবরাজ তা না হলে কোথায়? রাজনৈতিকভাবেও খুবই কর্মঠ ছিলেন তিনি।
ফারস নিউজ এজেন্সি বলছে, ২৮ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রথমবারের মতো রিয়াদ ভ্রমণের সময়ও মোহাম্মদ বিন সালমান গণমাধ্যমের সামনে আসেননি।
তবে ওই সময় রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ রিয়াদে মোহাম্মদ বিন সালমান ও রেক্স টিলারসনের মিটিংয়ের একটি ছবি প্রকাশ করে।