মাত্র এক সপ্তাহ ছুটি কাটাতে তুরস্কের একটি রিসোর্টে এক সৌদি প্রিন্স খরচ করেছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ পৌণে ৬ কোটি। সৌদির ধনী ব্যক্তিদের একজন ওই যুবরাজ। তার নাম আলওয়ালিদ বিন তালাল বিন আব্দুলআজিজ আল-সাউদ।
প্রিন্স আলওয়ালিদের ভ্রমণসঙ্গী হন পরিবারের লোকজন, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষীদল। অগাস্টের ১৪ তারিখে তাকে বহনকারী প্রাইভেট বিমানটি যখন তুরস্কে পৌঁছায় সেখানে নামানো হয় অন্তত ৩০০ টি স্যুটকেস। পরে সেগুলো হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাকে করে।
৬২ বছর বয়সী এই সৌদি প্রিন্সের শখ সাইকেল চালানো। তাই ভ্রমণে আসার সময় প্যাকেট করে নিয়ে যান অন্তত ৩০ টি বাইসাইকেল। পরে সাইকেলে চেপে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে চষে বেড়ান তুরস্কের উপকূলীয় এলাকা।
এবারের ভ্রমণে শুধু থাকার জন্যই তিনি খরচ ৩ লাখ ৬৭ হাজার পাউন্ড বা ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সমুদ্রের তীরঘেঁষা হোটেল এবং পাশেই বেশ কয়েকটি ভিলা ও লজ ভাড়া নেন তিনি। দিন কাটান প্রমোদতরীতেও। ফাইভ-কেআর নামের প্রমোদতরীটি আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছিল। ১৯৯১ সালে তিনি সেটা সৌদি আরবের কাছে বিক্রি করে দেন।
আবার ১৪ জন অতিথিকে নিয়ে নুসার-এট স্টেক হাউজে রাতের খাবার শেষে প্রিন্স বখশিসই দিয়েছেন ৪,৪৫৯ পাউন্ড বা ৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। আরেকদিন তিনি খেতে যান এক ফিশ রেস্টুরেন্টে। সেখানে খরচ করেন ৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা, অর্থাৎ ৮,৯১৯ পাউন্ড।
প্রিন্স আলওয়ালিদ সৌদির কিংডম হলিডে কোম্পানির চেয়্যারম্যান। তিনি বিশ্বের ৪৫তম ধনী ব্যক্তি। তার মূল সম্পদের পরিমাণ ১৪.৬ বিলিয়ন পাউন্ড। টুইটার এবং এমন আরো বেশ কিছু কোম্পানির বড় শেয়ারহোল্ডারও তিনি।
তুরস্কে ছুটিটা যে খুব ভালোমতোই কাটিয়েছেন সৌদি প্রিন্স তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে। নিয়মিত টুইট করা প্রিন্স আলওয়ালিদ ছুটির এক সপ্তাহে টুইট করেছেন মাত্র একবার।