সৌদি আরবে আজ থেকে কোনো নারীর তালাক কার্যকর হলে তাকে আদালতের সিদ্ধান্তটি টেক্সট মেসেজ বা ক্ষুদেবার্তা দিয়ে জানাতে হবে।
রোববার থেকে জারি হওয়া নতুন একটি আইনে এ বিধান রাখা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত দেশটিতে কোনো নারীর তালাক হয়ে গেলেও আইনিভাবে তাকে জানানোর কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না।
স্থানীয় নারী আইনজীবীরা মনে করছেন, এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে সৌদিতে প্রচলিত ‘গোপন তালাক’ বন্ধ হবে। এই প্রথার সুযোগ নিয়ে দেশটিতে প্রায়ই স্বামীরা স্ত্রীকে না জানিয়েই তালাক দেন।
আশা করা হচ্ছে, নতুন আইনটি সৌদি নারীদের নিজেদের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে আইনানুগভাবে সচেতন করবে এবং খোরপোষসহ তাদের যাবতীয় অধিকার নিশ্চিত করার সুযোগ দেবে।
সৌদি আইনজীবী নিসরি আল-ঘামদি ব্লুমবার্গকে বলেন, নতুন এই আইন নারীদের ভরণপোষণ জাতীয় অধিকারগুলো যেমন নিশ্চিত করবে, তেমনি এটাও নিশ্চিত করবে যেন তালাকের আগে কার্যকর হওয়া কোনো পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তালাকের পর অপব্যবহার না হয়।
স্থানীয় পত্রিকা ওকাজ’কে আইনজীবী সামিয়া আল-হিন্দি জানান, এ পর্যন্ত বহু নারী তাদের না জানিয়ে তালাক দেয়া হয়েছে, এ মর্মে আদালতে আপিল আবেদন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন আইনটি হলো।
নতুন এই সিদ্ধান্ত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক ও সমাজ সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নারী বিষয়ক সাম্প্রতিক সংস্কারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নারীদের স্টেডিয়ামে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখা, গাড়ি চালানো এবং এমন কিছু পেশায় কাজ করার সুযোগ যেগুলো চিরাচরিতভাবে পুরুষদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
তবে এখনো সৌদি আরবে পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পরও অধিকাংশ কাজেই নারীদের পুরুষ অভিভাবকের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে পাসপোর্টের জন্য আবেদন, বিদেশ ভ্রমণ, বিয়ে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, বিশেষ কিছু ব্যবসা শুরু করা, স্বেচ্ছায় কোনো সার্জারি করানো, কারাগার ত্যাগ ইত্যাদি।