বিদেশি নাগরিকদের বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে সৌদি সরকার। এ অনুমোদন পেয়ে বিনিয়োগ শুরু করেছে সৌদি আরবে অবস্থানকারী বাংলাদেশীরাও। সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রথম নারী উদ্যোক্তা প্রবাসী কবি ও লেখিকা আবেদা সুলতানার উদ্যোগে রয়েল রেস্টুরেন্ট এর যাত্রা শুরু হয়েছে।
প্রবাসীরা এতদিন দেশটিতে অন্যের নামে গোপনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। সৌদি সরকারের আইন পরিবর্তন করে বিদেশিদের বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়ায় অনেকেই নিজের নামে ব্যবসা পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। যেসব প্রবাসী গোপনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তাদেরকে বৈধভাবে ব্যবসা নিবন্ধন করার জন্য সুযোগ দিয়েছে সৌদি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদেরকে সহ বিদেশীদেরকে সহজ শর্তে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে যেসব প্রবাসী গোপনভাবে ব্যবসা করে আসছিলেন তাদেরকে নিজ নামে ব্যবসার নিবন্ধন করার জন্য আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন না করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। প্রবাসীদেরকে নিজ নামে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বাণিজ্যিক গোপনীয়তা বিরোধী আইন সংশোধন করেছে দেশটির সরকার।
আবেদা সুলতানার রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করেন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব ইলেকট্রনিক মিডিয়া সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল এর সভাপতি এবং চ্যানেল আই’র সৌদি আরব প্রতিনিধি এম ওয়াই আলাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে রেস্টুরেন্ট এর স্বত্বাধিকারী আবেদা সুলতানা, ব্যবসায়ী মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলা শাখার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ভূঁইয়া, ট্রাভেল ব্যবসায়ী নাঈম উদ্দিন, রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহার উদ্দিন বকুল, প্রচার সম্পাদক আল মামুন শিপন, সাংবাদিক রঞ্জু আহমেদ, মোঃ ফিরোজ আহমেদ, কাউসার আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ নূরু সহ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নিবন্ধন পাওয়া জেদ্দার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, দীর্ঘদিন পরে নিজ নামে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেছেন, এতদিন স্থানীয় সৌদি নাগরিকের নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন যার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তাকে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হতো। সৌদি সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী আব্দুল মান্নান একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে বৈধতা পেয়েছেন বলে অনেকটা উচ্ছ্বসিত তিনি।
সৌদি সরকারের প্রবর্তিত নতুন আইন অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন পর সরকারি আইনজীবীর মাধ্যমে যাচাই বাছাই করবে। কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন ২০ মিলিয়ন বা দুই কোটির বেশি হয় সেক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ মালিকানা তার নামে রাখা হবে বাকি ২৫% থাকবে সৌদি সরকারের মালিকানায় এছাড়া কোন বিনিয়োগকারী লেনদেন যদি দুই কোটির কম হয় সেই অনুপাতে তার মালিকানা নির্ধারণ নির্ধারণ করা হবে।
নিবন্ধনের সময় শেষ হওয়ার পর কেউ যদি অবৈধ ব্যবসার খবর সরকারের কাছে পৌঁছে দেয় তখন সন্ধানদাতাকে ওই ব্যবসার ৩০ শতাংশ মালিকানা দিয়ে ৭০ শতাংশ মালিকানা সরকার নিয়ে নেবে বলে জানানো হয়েছে।