সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে খুলা বিচ্ছেদের পরিমাণ বিগত বছরগুলোর চেয়ে ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। দেশটি আইন মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
মক্কাতে বিয়ের সময় পুরুষেরা নারীদেরকে যৌতুক দিয়ে থাকে। এটাই খুলা হিসেবে পরিচিত। এ খুলা নারীকে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা করতে বেশ কাজে দেয়।
তবে এখন সৌদি নারীরা সেই যৌতুকের আংশিক বা পুরোটাই পুরুষকে ফিরিয়ে দিয়ে বিচ্ছেদ নিশ্চিত করছেন। চলতি বছর মক্কাতে খুলা ডিভোর্সের ৪৬৩টি মামলা ফাইল করা হয়েছে। এর আগের বছর যার সেই পরিমাণ ছিলো মাত্র ৩১৩টি।
সৌদি আরবে এখন এমন মামলার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ইস্টার্ন প্রভিন্সে। এরপর যথাক্রমে জাহান, আল কাশিম এবং রিয়াদে।
সেখানকার ফ্যামিলি মেডিসিন ও কমিউনিটি কনসালট্যান্ট খালিদ জেলবান বলেন, সমাজের চাপে যারা এতদিন নিজেদের বিয়ে টিকিয়ে রেখেছিলো তারাও এখন ধৈর্য হারিয়ে খুলার সাহায্য নিচ্ছেন।
এখনকার সৌদি নারীরা অনেক বেশি আত্নবিশ্বাসী। যথাযথ শিক্ষা অর্জনের কারণে তারা নিজেদের একটি কর্মঠ জীবন দিতে পারে। পাশাপাশি পরিবার প্রতিপালনের দায়ও তারা নিতে পারে।
‘অনেকের স্বামী দায়ভার না নেওয়ার কারণে তো তারাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।’
তারপরও বিচ্ছেদের এই বাড়তি প্রবণতাকে নেতিবাচক বর্ণনা করে জেলবান বলেন, এতে করে পরিবার ব্যবস্থার উপরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আর পরিবারইতো সমাজের মূল অংশ।
অবশ্য এই সমস্যার একটি সমাধানও দেন তিনি। নারীদের যেমন নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে, তেমনই নিজের পরিবারকে কোনো ঝামেলা ছাড়া রক্ষা করার মতো শক্তি অর্জন করতে হবে।
নারীদের মধ্যে নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে বলেই এমন বিচ্ছেদ বাড়ছে বলে মনে করেন সেখানকার আইনজীবী বায়ান জাহরান।
তার মতে, আগে নারীরা তাদের অধিকার বিষয়ে অজ্ঞ ছিলো। এখন নারীরা সৌদি আরবের ইসলামিক আইনমতে তাদের অধিকার সম্পর্কে জানে।