সৌদি আরবে নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ঐতিহাসিক পৌর নির্বাচনে সালমা বিনতে হিজাব আল-ওতেইবি নামের এক নারী একটি আসনে জয়লাভ করেছেন। শনিবার অনুষ্ঠিত ভোটাভোটিতে মক্কা প্রদেশের মাদরাকাহের একটি আসনে সাতজন পুরুষ এবং দুইজন নারী প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে তিনি জয় লাভ করেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রেসিডেন্ট ওসামা আল-বার এসপিএ নিউজ এজেন্সিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায়, শনিবারের নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার বেশ ভালো ছিলো।
পরিবর্তনের এই নির্বাচনটিতে সর্বমোট ৯৭৮ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য নিবন্ধন করে। যেখানে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯৩৮। এছাড়াও দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ১ লাখ ৩০ হাজার নারী ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। আর নিবন্ধিত পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৫ হাজার।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং পরিবহন ব্যবস্থার অপ্রতুলতায় নারী-পুরুষ অংশগ্রহণের এই বিশাল বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে এএফপি নিউজ এজেন্সি জানায়।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
সৌদি রাজ্যে যেকোনো ধরনের নির্বাচনই বেশ বিরল ঘটনা। শনিবারের নির্বাচনটি সহ মাত্র তিনবার নির্বাচন হয় দেশটিতে। ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছরে দেশটিতে কোনো নির্বাচন হয় নি।
প্রয়াত রাজা আব্দুল্লাহর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারীরা নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুমোদন পায় যা ছিলো তার শাসনামলের অন্যতম প্রধান অংশ।
সৌদি আরবের ইতিহাসে এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট প্রদান এবং প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার অনুমোদন পেয়েছে নারীরা। রক্ষণশীল রাজ্যটিতে এই নজিরবিহীন ঘটনাটিকে দেখা হচ্ছে একটি মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে। দেশটিতে এখনও গাড়ি চালানোসহ জনসম্মুখের বিভিন্ন ধরনের কাজে নারীদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হতে হয়। এমনকি নির্বাচনি প্রচারণায় পুরুষ ভোটারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার অনুমোদন ছিলো না নারী প্রার্থীদের।