সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাশরাফিদের ২৬৬ রান করতে হবে। এই মাঠের ইতিহাস বলছে এই কাজটি খুব একটা কঠিন নয়। পরে ব্যাট করা দল প্রায়ই এখানে সুবিধা পায়।
বাংলাদেশ সাহস খুঁজতে পারে নিজেদের ইতিহাস থেকে। এই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার করা ২৫০ রান তাড়া করে জেতার নজির আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
২০১৩ সালে এখানে ভারতের করা ৩৩১ রান তাড়া করতে নেমে সাউথ আফ্রিকা ৩০৫ করে ফেলেছিল। এছাড়া আগে ব্যাট করে ৩০২ রান তুলেও হারার নজির আছে ইংল্যান্ডের। পাকিস্তান গত বছর ৪৮.২ ওভারে ওই স্কোর টপকে গিয়েছিল। ২০০১ সালে পাকিস্তানের করা ২৫৭ অনায়াসে টপকে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও।
টস হেরে আগে বল করতে নেমে বোলাররা এদিন খুব একটা খারাপ করেননি। মাশরাফি ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৫ রান দিয়েছেন। উইকেট নেই। এই চিত্র তার বোলিংয়ের ধার বোঝাতে পারছে না। অধিনায়কের ওভার থেকে ৩৫টি ডট বল গেছে। মেডেন আছে একটি।
সেই তুলনায় মোস্তাফিজ একটু বেশি খরুচে। ৯ ওভারে তিনি রান দিয়েছেন ৫১। এক উইকেট। তার হাত থেকে ডট বল বেরিয়েছে ২৯টি।
সাকিব আজ সবার আগে দশ ওভারের কোটা শেষ করেন। তিনি রান দিয়েছেন ৫২। কোনও উইকেট পাননি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে তাসকিন শুরু থেকে গতির ঝড় তোলেন। ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার। মোসাদ্দেক শেষদিকে বল হাতে ঝলক দেখান। ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন!
নিউজিল্যান্ড এদিন একটিও শতরানের জুটি গড়তে পারেনি। প্রথম উইকেট জুটিতে রঞ্চি (১৬) এবং গাপটিল (৩৩) ৪৬ রান তোলেন। ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি তৃতীয় উইকেটে, ৮৩। এই সময়ে কেন উইলিয়ামসন (৫৭) এবং টেইলর (৬৩) বাংলাদেশকে বেশ বিপাকে ফেলেন।
উইলিয়ামসন রানআউট হয়ে ফিরলে টেইলরকে মোস্তাফিজের ক্যাচ বানান তাসকিন। উইলিয়ামসন শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই রানআউট হলেন! তিনি ফেরার পর টেইলর যাওয়ার আগে ব্রুমের (৩৬) সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন।