জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়তই মানুষ কোনো না কোনো কিছু হারায়। হারানো সেইসব জিনিস দামি হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। তবে মূল্যবান কিছু হারালেই তা খুঁজে পেতে মানুষ সাধারণত বিজ্ঞপ্তি দেয়, মাইকিং করে। এমনকি আপনজন হারিয়ে গেলেও এভাবেই খুঁজে পেতে চায়।
দেয়াল থেকে দৈনিক পত্রিকা, বাসের বডি থেকে ফেসবুকের ওয়াল কিংবা টেলিভিশনের পর্দা থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টালে সেইসব হারানো বিজ্ঞপ্তি আমরা বলতে গেলে প্রতিদিনই দেখি। হারানো বিজ্ঞপ্তির বিষয়গুলোর সঙ্গেও আমরা অতিপরিচিত। কিন্তু আমরা কেউ কি কোথাও দেখেছি জামা হারানোর বিজ্ঞপ্তি?
হ্যাঁ সত্যিই তাই, ৬ বছরের ছোট্ট একটি মেয়ের হারিয়ে যাওয়া ঈদের জামা ফিরে পেতে তার মা এভাবেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। সে বিজ্ঞপ্তিতে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এক মায়ের হৃদয় নিংড়ানো মমতা আর ভালোবাসা।
অকৃত্রিম স্নেহ আর মমতা মাখানো লেখা সেই হারানো বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়লো রাজধানী মিরপুর টু গুলশান রুটে চলাচল করা বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে। গাড়ীর ভেতরে লাগানো রয়েছে “একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি।”
তাতে লেখা, ‘‘গত ২৭-৬-২০২৭ তারিখ রাত ১০টা ১৫ মিনিটে বাড্ডা লিংক রোড় থেকে বিহঙ্গ পরিবহনে উঠে আমার সোনামণির ঈদের জামকাপড়সহ একটি হালকা খয়েরি লাল রঙের ব্যাগ ভুলে বাসে রেখে উত্তর বাড্ডায় নেমে যাই। এতে ব্যাগটি হারানো যায়। ফলে আমার সোনামণি (বয়স ৬) গভীর ভাবে মর্মাহত। যদি কোন সুহৃদয়বান ভাই বোন উক্ত ব্যাগখানা পেয়ে থাকেন দয়া করে নিচের দেয়া নম্বরে যোগাযগ করে উত্তর বাড্ডা ফুট ওভার ব্রিজের পূর্বপাশে মিনিমহল দোকানে অথবা বিহঙ্গ পরিবহনের মিরপুর ১২ অফিসে জমা দিলে চির কৃতজ্ঞ থাকিব। দয়া করে আমার মেয়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিন। প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ…।’’
সেই ব্যাগটি কেউ পেলে তা ফেরত দিতে মোঃ বেলালুর রহমান (০১৭৩৪৬৯৫১৮৮) অথবা উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ তাছলিমা নাসরিনের (০১৭৪৭০৭১৭০০) সাথে যোগাযগের করতে বলা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।