তিন মাস অপেক্ষার পর মাঠে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাঁ-চোখের কর্নিয়ায় ভাইরাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেয়েছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। রোববার মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সিতে। জানালেন, সুস্থতার পর চ্যালেঞ্জটা এখন ছন্দে ফেরার।
‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকেই মাঠের বাইরে। আমার মূল চ্যালেঞ্জ ছন্দ ফিরে পাওয়া। যে ফর্মে থেকে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই শুরু করতে চাই। গত বিপিএলে যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই আবারও শুরু করতে চাই।’
সুস্থ হয়ে ফিরেই সৈকত পাচ্ছেন ম্যাচ খেলার সুযোগ। ৪ নভেম্বর শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসর। সেখানে ভাল খেলেই সুযোগ করে নিতে চান জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজের টাইগার দলে।
‘এটা আমার জন্য একটা বড় সুযোগ। খুব দ্রুত ফেরার সুযোগ পেয়েছি। সামনে আবার জাতীয় দলের হোম সিরিজও আছে। বিপিএলটা যদি ভাল যায় আবার জাতীয় দলে ফিরব।’
টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হয়ে উঠছিলেন সৈকত। কিন্তু চোখের অসুস্থতায় খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। যাওয়া হয়নি সাউথ আফ্রিকা সফরেও। দলের বাইরে থাকায় টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন সতীর্থদের খেলায়। দলে ফেরার তাগিদ তাতে আরও বেশি অনুভব করেছেন ২১ বছরের এই তরুণ।
‘এটা প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য কষ্টের একটা সময়। টিভিতে বসে খেলা দেখছি, আমার কাছে অনেক কষ্টের ছিল। কত তাড়াতাড়ি ফিরব, কবে দলে যোগ দেব, কোনও একটা টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরব, এই তাড়াটা খুব অনুভব করেছি।’
এবারও ডায়নামাইটসের হয়ে খেলবেন সৈকত। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা শক্তিশালী দল গড়েছে। তবে কাগজে-কলমে সেরা দলের একটি হলেও মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েই যে সাফল্য ছিনিয়ে আনতে হবে সেটিও স্মরণ করিয়ে দিলেন সৈকত।
‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল হয়েছে। তবে মুখ দিয়ে বললেই তো আর চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাবে না। মাঠে সেটা প্রমাণ করতে হবে। খেলা শুরু হোক। দল একসঙ্গে হলে বুঝতে পারব কতটা ভারসাম্যপূর্ণ। টুর্নামেন্ট শুরু হোক, এক-দুই ম্যাচ গেলে বুঝতে পারব আমরা কী অবস্থায় আছি।’