জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন। মিডিয়ার মাধ্যমে মামলা সম্পর্কে অবগত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। এ ব্যাপারে সৈকতের বক্তব্য শুনতে শিগগিরই তাকে ডাকবে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
নেতিবাচক নানা কর্মকাণ্ডে খবরের শিরোনাম হচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। গেল কয়েক বছরে নারী কেলেঙ্কারি ও নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে হয়েছে মামলা। এবার তরুণ ক্রিকেটার সৈকতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী নির্যাতন ও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির।
সম্প্রতি নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে উঠেছে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ। আরেক ক্রিকেটার সাব্বির রহমান ফেসবুকে এক সমর্থককে হুমকি দিয়ে হয়েছেন সমালোচিত। এসব ব্যাপারে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
‘মোসাদ্দেকের ব্যাপারটা যেটা দেখেছি তার স্ত্রী মামলা করেছেন, যেহেতু এটা আদালতে চলে গেছে, আদালতেই নিষ্পত্তি হোক। আর আমরা আমাদের বিষয়গুলোকে আমাদের মতো করে দেখব। খুব শিগগিরই বসব, সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের ডাকা হবে। তাদের বক্তব্য শুনব।’
‘এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক ব্যাপার। অভিভাবক হিসেবে আমাদের যেটা করণীয় আমরা করব। বোর্ডের অবস্থান এসব ব্যাপারে কঠোর হবে এইটুকু বলতে পারি। বোর্ড সভাপতি দেশের বাইরে আছেন। উনি যাওয়ার আগে এসব নিয়ে আলোচনা করেছেন। মোসাদ্দেকের ইস্যু আসার আগে অন্য বিষয় (নাসির ও সাব্বির) ছিল, যেগুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে যেটা আপনারা শিগগিরই জানতে পারবেন।’ -বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
এদিকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে যৌতুক মামলার খবর শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সৈকত নিজেই। ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরও কেন মামলা তা নিয়ে অবাক তিনি। তার স্ত্রী যদিও দাবি করেছেন তিনি ডিভোর্স লেটার পাননি।
‘আমি শুনেছি মামলা হয়েছে। যতটা জানি আমার স্ত্রী ও তার পরিবার আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছে কোর্টে। আমি একটু অবাক হয়েছি যে, ডিভোর্স হওয়ার পরও কেন তারা এ মামলা করছে তা নিয়ে। কারণ আমি তো কাবিননামা অনুসারে আমার স্ত্রীকে ভরণপোষণের সব খরচ দিতে রাজি আছি। আরেকটি বিষয় হল আমার যে অর্থিক অবস্থা তাতে করে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি মনে করি আমাকে হয়রানি করার জন্যই এই মামলা।’