‘শোকনূপুরে সৃজনের সুরধ্বনি’ শিরোনামে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সেলিম আল দীনের নবম প্রয়াণ দিবস পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ।
২০০৮ সালের ১৪ই জানুয়ারি উপমহাদেশের এ বরেণ্য নাট্যকার পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
দিবসটি উপলক্ষে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে সকাল দশটায় একটি স্মরণযাত্রা সেলিম আল দীনের সমাধিস্থলে গিয়ে শেষ হয়। স্মরণযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ, সেলিম আল দীনের আত্মীয়-স্বজন প্রমুখ।
এছাড়াও বাংলাদেশ গ্রামথিয়েটার, ঢাকা থিয়েটার, সেলিম আল দীন ফাউন্ডেশন, তালুকনগর থিয়েটার, স্বপ্নদল ঢাকা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, পুতুল নাট্য গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, নাটক সংসদ, কলমা থিয়েটার, ভোর হোল, শহীদ টিটু থিয়েটারসহ অন্যান্য সংগঠন তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, ‘সেলিম আল দীন ক্ষণজন্মা পুরুষ। সেলিম আল দীন তার কীর্তির মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে বিরাজ করছেন।’
প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে দিনব্যাপী মৃৎ মঞ্চে লাঠিখেলা, এ্যাক্রোবেট প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও জহির রায়হান মিলনায়তনে নাটক মঞ্চায়ন করা হয়।
১৯৪৯ সালে ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজিতে জন্মগ্রহণ করেন সেলিম আল দীন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ।
২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন রবীন্দ্রোত্তরকালের শ্রেষ্ঠ এই নাট্যকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।