চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সেলিমা-শিমুলসহ ১৪ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস ও প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করা হয়েছে।

খিলগাঁও থানার গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার মামলায় অভিযোগ গঠন করে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম এমাদুল হক এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নারী নেত্রী শিরিন সুলতানা, শফিউল বারী বাবু, সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, এম এ কাইয়ুম, লতিফ কমিশনারসহ আরও দুইজন।

অবশ্য মতিঝিল থানার একটি এবং পল্টন থানার তিন মামলায় বর্তমানে চার দিনের রিমান্ডে আছেন শওকত মাহমুদ। এছাড়া আরো কয়েকজন কারাগারে আছেন। তবে নথি না থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন তাদেরকে এ মামলায় পলাতক দেখিয়ে গত ২৭ জুন চার্জশিট দাখিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন।

মোট ২৪ আসামির মধ্যে সুমন নামে একজন আগে থেকেই কারাগারে আটক আছেন। বাকি নয় আসামির মধ্যে মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ছয়জন আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন তাদের এ মামলায় পলাতক দেখিয়ে গত ২৭ জুন চার্জশিট দাখিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে ম্যাজিস্ট্রেট এ পরোয়ানা জারি করেন।

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের মধ্যে শওকত মাহমুদসহ কয়েকজন কারাগারে আছেন। কিন্তু আদালতের নথিতে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য না থাকায় সবার বিরুদ্ধেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে তুরাগ পরিহনের একটি গাড়িতে ভাঙচুর ও যাত্রী হত্যার উদ্দেশে গাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গাড়িটির মালিক নজরুল ইসলাম খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।