দুই বছরে ৬০ ওয়ানডে। কম সময়ে এতবেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আগে হয়নি বাংলাদেশের কোনো দলের। পর্যাপ্ত ম্যাচ অনুশীলন আর ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে সাউথ আফ্রিকা রওনা হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় টাইগার যুবাদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।
দেশ ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক আকবর আলি শুনিয়েছেন ফাইনাল খেলার আত্মবিশ্বাসের কথা।
দুই বছর অন্তর মাঠে গড়ায় যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ১৯৯৮ সাল থেকে নিয়মিত আসরে দল পাঠায় বাংলাদেশ। ২ বছর ধরে চলে প্রস্তুতি। যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২ বছর মেয়াদে পঞ্চাশ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি কোনো দলের। কিন্তু টাইগারদের বর্তমান দলটি খেলেছে ৬০ ম্যাচ। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে গিয়েও সফল হওয়ার নজির গড়েছে।
আদর্শ প্রস্তুতি ও সম্ভাবনাময় এক ঝাঁক ক্রিকেটার বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে বড় স্বপ্ন। যুবাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এ ই এম কাওছার জানালেন, দলটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা।
‘আমরা বিশ্বাস করি এখান থেকে ৫-৬ জন ক্রিকেটার আগামী ২-৩ বছরে জাতীয় দলে খেলবে। সে সম্ভাবনা তাদের আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা দলও এটিকে বলে দেয়া যায়। তারা যত ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে আগে কোনো দলই তা পায়নি।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য সেমিফাইনাল খেলা। দেশের মাটিতে ২০১৬ বিশ্বকাপে মিরাজ-শান্তরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না হারলে সেবারই পূরণ হয়ে যেত ফাইনালের স্বপ্ন। যুবা টাইগারদের দেশের বাইরে সেরা সাফল্য নিউজিল্যান্ডে, ২০১৮ বিশ্বকাপে সাইফ-আফিফরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছেন।
সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ড। ১৮ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠের লড়াই শুরু হবে আকবর-হৃদয়দের।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: আকবর আলি (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয় (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তানিম, পারভেজ হোসেন ইমন, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, শামিম হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, তানজিম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহিন আলম, রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ।