কলম্বো, শ্রীলংকা থেকে: টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে লড়াই হয়েছে জম্পেশ। টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ জিতে সমতা এনেছে। ওয়ানডে সিরিজে একই পথে হেঁটেছে শ্রীলংকা। সফরের শেষ পর্বে টি-টুয়েন্টি’র ওপর এখন মনোযোগ। তাতে জয়ের লক্ষ্যের কথা শুনিয়েছেন লংকান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির আশা, সফরজুড়ে ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রথম টি-টুয়েন্টিতে জয় পাওয়া সম্ভব। সেজন্য নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিতে হবে।
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি মঙ্গলবার। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ম্যাচ শুরু। এই ফরম্যাটে ২০১৪’র বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকার সাথে এর আগে পাঁচ মোকাবেলার চারটিতে হার। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের দশ নম্বর দল বাংলাদেশের এবার টি-টুয়েন্টিতেও নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার পালা।
ওয়ানডেতে সিরিজ জেতা যায়নি। কারণ নিজেদের খেলাটা খেলতে না পারা। তবে সেসব পেছনে রেখে জয়ে শুরু প্রত্যয়ী টাইগার দলপতি বললেন, ‘ওয়ানডেতে প্রেশার ছিল না, তবে আমরা ভালো না খেলে হেরেছি। কিন্তু প্রথম ম্যাচ জেতা থাকলে সবসময়ই অ্যাডভান্টেজ থাকে। সেদিক থেকে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
সোমবার সন্ধ্যা পার করে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোয় জোর অনুশীলন করেছে ‘টিম-টাইগার্স’। গত মার্চে বিশ্বকাপে ওমানের সাথে জয়ের পর টানা সাত ম্যাচে হার টাইগারদের। সেটা মাথায় রেখে আর শ্রীলংকাকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মেনেও ভালো কিছু দিয়েই সফর শেষ করার আশা মাশরাফির।
টাইগারদের রঙিন পোশাকের অধিনায়ক বললেন, ‘টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অত ভালো না। তারপরও আমরা আশা করছি, আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো করবো।’
শেষ দুটি অ্যাওয়ে সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার মতো দুই জায়ান্ট দলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে শ্রীলংকার। পাশাপাশি টি-টুয়েন্টির ভয়ংকর বোলার লাসিথ মালিঙ্গা’র দলে ফেরা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। থারাঙ্গা বলছেন লড়াই জমবে।
সেটি অবশ্য খুব ভাবাচ্ছে না মাশরাফিকে, ‘কোন দল ফেভারিট থাকলেও যে বাংলাদেশ নিজের খেলাটা খেলতে পারবে না, জিততে পারবে না, এমন কোন সুযোগ তো নাই। শ্রীলংকা এই দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যেয়ে সাফল্য পেয়েছে। সেখানে আমরা টেস্টে পিছিয়ে থেকেও জিতেছি, পরে ওয়ানডেতেও তাদের হারিয়েছি। এর মানে যে টিমই ফেভারিট থাকুক, আমরা সেরাটা খেলতে পারবো না সে সুযোগ নাই। সেরাটা খেললে ভালো করবোই।’
পরিসংখ্যানে বাংলাদেশকে পেছনে ফেললেও প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের রেকর্ড মোটেই ভালো নয় শ্রীলংকার। এই মাঠে এগারো টি-টুয়েন্টি’র দশটিতেই হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।