ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে ওঠার সুখস্মৃতি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গ্রুপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। কাগজে-কলমে যেটি গ্রুপ অব ডেথ! শক্তিশালী গ্রুপ সঙ্গীদের ভীরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য বড় কিছুর আশাই করছেন। মাশরাফিদের কমপক্ষে সেমিফাইনালে দেখতে চান সাবেক এই অধিনায়ক।
আগামী ১ জুন ওভালে ইংলিশদের বিপক্ষে টুর্নামেন্ট শুরু হবে টাইগারদের। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হয়েছে। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সাড়ে তিনশর কাছে সংগ্রহ গড়েও অবশ্য জয় হাতছাড়া হয়েছে বোলাররা অনুজ্জ্বল থাকায়। এরপরও আশাই দেখছেন সুজন।
‘কতদূর যাবে বাংলাদেশ, এটা জিজ্ঞেস করলে আমার মনে হয় লম্বা চিন্তাই করা উচিত। সেমিফাইনাল তো আমাদেরই খেলা উচিত। সবাই বলছে আমারা শক্তিশালী গ্রুপে আছি। আমি মনে করি আমাদের দলের অবস্থান এখন এটাই। তাই ভালোকিছুই করা সম্ভব।’
বর্তমানে বিসিবির এই পরিচালক মনে করছেন নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া ধরে বসে থাকলে চলবে না। ছয় নম্বরে থাকা দলকে এমন শক্তিশালী দলের সঙ্গেই তো খেলতে হবে। সেখানে অজুহাত দেখানোর সুযোগ নেই। চ্যাম্পিয়নদের সাথে সেরাটা খেলেই অনেককিছু করা সম্ভব।
শনিবার প্রস্তুতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে ৩৪১ করেও ম্যাচ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। এই গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে ব্যাটসম্যানরা যে রান উৎসব করবে সেটিই আবারো মনে করিয়ে দিলেন দেশটিতে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ খেলা খালেদ মাহমুদ, ‘ওভালে পৌনে চারশ রানও নিরাপদ হবে কিনা আমি সন্দিহান। বেশ ফ্ল্যাট উইকেট সেখানে। আমাদের দুটি খেলাই ওভালে। ফ্ল্যাট উইকেট, দ্রুতগতির আউটফিল্ড, ছোট মাঠ- সবমিলিয়ে প্রচুর রান হবে। এখানে ডিফেন্ড করা কঠিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বল না করতে পারলে বোলারদের কাজটা খুব কঠিন হবে।’
প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে খালেদ মাহমুদ বললেন, ‘জিতলে ভাল হত। ওই পরিস্থিতিতে থেকে ম্যাচ হাতছাড়া করা ঠিক হয়নি। বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন ছিল। সাকিব পুরো ওভার করেনি। মোস্তাফিজ-রুবেল খেলেনি। মূল টুর্নামেন্টে তো এমন হবে না। ছেলেরা পরিকল্পনা অনুযায়ীই বল করবে।’
ডেথ ওভারে ব্যাটিং-বোলিংয়ে আরো সতর্ক হতে বললেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘কোন কোন ম্যাচে ডেথ ওভারে আমাদের সমস্যা হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ খেলে যাওয়ায় কোন চাপ মনে হয়নি। ব্যাটসম্যানরা শেষ করতে না পারলে ওই সময় উইকেটে বোলাররা থাকলে বেশ কঠিন হত কাজটা। ব্যাটিংয়ের শেষটা তাই ব্যাটসম্যানদেরই করে যেতে হবে। আর বোলিংয়ে দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা খুব জরুরী। শেষের দিকে ব্যাটসম্যান বুঝে বল করাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’