কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৫ মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এসময় জীবিতি উদ্ধার করা হয়েছে ৭১ জনকে।
কোস্টগার্ড জানায়, সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার পথে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটলে তাদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আরো অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে।
জীবিত উদ্ধারের মধ্যে ৪৬ জন নারী, ৪ জন শিশু ও ২১ জন পুরুষ। এর মধ্যে ২ জন বাংলাদেশী রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড ছাড়াও নৌ-বাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে ৩ টি জাহাজ।
প্রশাসনের অভিযান ও কড়াকড়িতে দ্বীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে সমুদ্র পথে মানবপাচারকারী চক্র। এসব মানবপাচারকারী চক্রের টার্গেট হলো কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানায়, সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া পৌঁছানোর কথা বলে মানবপাচারকারী একটি চক্র ১৩৮ জন রোহিঙ্গাকে একটি ট্রলারে তোলে। গতকাল রাত ৮টার দিকে টেকনাফের নোয়াখালীয়া পাড়া থেকে তারা যাত্রা শুরু করে। ভোর রাতের দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারটি পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে প্রথমে বিকল হয়ে পড়ে। পরে ট্রলারটি আস্তে আস্তে পানিতে ডুবে যায়।
এই ঘটনা সেন্টমার্টিনের কোস্টগার্ড সদস্যরা জানতে পেরে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে।