রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেবার পর এবার সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছে মিয়ানমার। দ্বীপের কিছু অংশ তাদের দাবি করে দেশটির জনসংখ্যা বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এরইমধ্যে এই অপচেষ্টার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, মিয়ানমার তাদের ভুল স্বীকার করে সংশোধন শুরু করেছে। নির্দিষ্ট সময়ে তা সম্পূর্ণ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে সরকার।
ক্সবাজারের কাছাকাছি প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩৭ সালে, যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয়, তখন দ্বীপটি ভারতে পড়েছিল। ১৯৪৭ সালে, দেশভাগের সময় সেন্টমার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে, স্বাধীনতার পর থেকেই এটি বাংলাদেশের। ১৯৭৪ সালে, সেন্টমার্টিনকে এই ভূখণ্ডের অংশ হিসেবেই মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমা চুক্তি হয়।
২০১৭ সালে, মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র সীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিন পুরোপুরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের। এরপরেও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মালিকানা দাবি করে মিথ্যা প্রচারণা করে মিয়ানমার। শনিবার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত উ লুইন ডেকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার দুপুরে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির এক সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে এই কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীপু মনি জানান, ভুল স্বীকার করেছে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ে আরও কঠোর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: