দায়িত্ব নেয়ার তিন মাসও হয়নি। এরই মাঝে নাকি নতুন কোচ কিকে সেতিয়েনের খেলার ধরণে ভরসা হারাচ্ছেন বার্সেলোনার ফুটবলাররা! কাতালোনিয়া রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়েছে এমনটিই।
কাতালোনিয়া রেডিওর ‘এল ক্লাব ডে লা মিটিয়ানিট’ অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়েছে, বার্সার ড্রেসিং রুমের বিশাল একটা অংশই নাকি বিশ্বাস করে যে, বার্সেলোনার মত বড় ক্লাবকে কোচিং করানোর যোগ্যতা কিকে সেতিয়েনের নেই। অথচ আর্নেস্টো ভালভার্দেকে বরখাস্ত করে প্রবীণ এই কোচের হাতে অনেক মুখ করে তুলে দেয়া হয়েছিলো লিওনেল মেসিদের দায়িত্ব!
‘এই লোকেরা (সেতিয়েন ও তার কোচিং স্টাফরা) কীভাবে একটা জাহাজের হাল ধরতে হয় সেটাও জানে না’ কিংবা ‘তারা তাদের ক্ষমতা সম্পর্কেও ধারণা রাখে না’ এমন কথাও নাকি শোনা গেছে বার্সার খেলোয়াড়দের মুখ থেকে! এমনটাই বলা হয়েছে কাতালোনিয়া রেডিওর সেই অনুষ্ঠানে।
সেতিয়েন দায়িত্ব নেয়ার পর ছয় অ্যাওয়ে ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে বার্সা, যার সবশেষটা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে, ২-০ গোলে। এর আগে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে হেরেছে কোপা ডেল রে থেকে বিদায় নিয়েছে কাতালোনিয়ান জায়ান্টরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নাপোলির মাঠ থেকে ফিরেছে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে।
কোচিং স্টাফদের প্রতি এই আত্মবিশ্বাস হারানোর সূচনাটা গত জানুয়ারি থেকে, ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের পর থেকেই। সেবার দলটির কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় লিওনেল মেসির দল।
ক্ষোভটা বেশি বেড়েছে এল ক্ল্যাসিকোতে হারের পর। প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক খেলে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদালকে তুলে নেন সেতিয়েন। পরে শেষ ২০ মিনিটে দুই গোল হজম করে রিয়ালের কাছে হেরে যায় বার্সা। ভিদালকে তুলে নেয়া সেতিয়েনের বড় ভুল ছিলো বলে মনে করেন খেলোয়াড়রা।
তবে খেলোয়াড়দের মূল রাগটা ক্লাবের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি। ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ সহ অন্য কর্মকর্তারা সব ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বর্তমানে দলের এই দশা করেছেন বলে বিশ্বাস তাদের। সবচেয়ে ভুলটা ছিলো স্প্যানিশ সুপার কাপে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হারের পর কোচ বদলের সিদ্ধান্ত নেয়া। জানুয়ারিতে সেই হারের পর চাকরি হারান আর্নেস্টো ভালভার্দে, দায়িত্ব পান সেতিয়েন। সেই সিদ্ধান্তের পরপরই মৌসুম সেখানেই শেষ বলে ধরে নিয়েছেন খেলোয়াড়রা!