চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফিরলেন মুমিনুল

চট্টগ্রাম থেকে: টেস্ট ক্যারিয়ারে চার সেঞ্চুরির তিনটিই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। অনুশীলন ম্যাচে সেই মাঠ পেয়ে আবার জ্বলে উঠলেন মুমিনুল হক। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফিরলেন ৭৩ রানে। অসাধারণ ব্যাটিং করতে থাকা এই বাঁহাতি আউট হয়েছেন সাকলাইন সজীবের সাধারণ এক ডেলিভারিতে। সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের অংশে লেগে বল উঠে যায় ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে।

মুমিনুলকে আটকে রাখতে চেষ্টার কমতি ছিল না মুশফিকদের। বারবার ফিল্ডার পরিবর্তন করে তার শট খেলার জায়গাগুলো আটকে দিতে চেয়েছিলেন গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো মুশফিক। সেই ফাঁদের ফাঁক গলেই মুমিনুল খেললেন অসাধারণ ইনিংসটি। আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ায় আউটফিল্ড ছিল মন্থর। সহজেই যেগুলো চার হতে পারত, সেগুলোতে দুই রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। কয়েকটি কাভার ড্রাইভ, পুল শট নিমেষেই বাউন্ডারির দেখা পেতে পারত!

আগের দিন ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল। ২৩ রানে অপরাজিত থাকা তামিম এদিন যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ৬ রান। ২৯ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন এই বাঁহাতি ওপেনার।

স্পিনারের ঘূর্ণির মুখে অনসাইডে পুশ করে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। তামিমও তাতে সাড়া দেন। কিন্তু অপর প্রান্তে ব্যাট রাখার আগেই মাহমুদউল্লাহর থ্রো সরাসরি স্টাম্পে আঘাত হানে। রান আউট হয়ে রাগে-ক্ষোভে ড্রেসিংরুমের দরজার গ্লাস ভেঙেছেন তামিম। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন উইকেট যেমন আচরণ করছে, তাতে বড় ইনিংস খেলতেই পারতেন। ধীরস্থির ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল তেমন কিছুই করতে চেয়েছিলেন ঘরের ছেলে তামিম।

তামিমের বিদায়ের পর সাব্বির রহমান ভাল শুরু পান। তার ‘ট্রেডমার্ক’ শট ছিল কয়েকটি। কিন্তু ১০ রান করার পর তাইজুল ইসলামের প্রথম বলেই বোল্ড হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর্ম বলের মুখে ব্যাট পাতলেও কানায় লেগে লেগস্টাম্প উপড়ে যায়।

মুমিনুলের সঙ্গে নাসির হোসেন জুটি বেধে তামিমের দলকে আগেই লিড এনে দেন। নাসির ৩২ ও তানবীর হায়দার ৮ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন। দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৪ রান। লিড ২৪ রানের। বুধবার প্রথম দিনে শফিউল ইসলামের আগুনঝড়া বোলিংয়ে ১৪০ রানে থামে মুশফিকদের ইনিংস।