বিশ্বের অনেক দেশেই মারিজুয়ানা বৈধতা পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন স্কুলের গবেষকরা জানিয়েছেন, মারিজুয়ানায় আসক্তরা অন্যদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি সেক্স করে থাকে।
সিএনএন জানাচ্ছে, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন স্কুলের ইউরোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইকেল এইসেনবার্গ যখন তার রোগীদের সঙ্গে যৌন সমস্যা বিষয়ে আলাপ করেন, তখন তাদের অনেকেই তার কাছে মারিজুয়ানা তাদের যৌনশক্তির কোন ক্ষতি করবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চান।
মাইকেল এইসেনবার্গ বলেন, ‘মারিজুয়ানার ব্যবহার বাড়ছে, মিলছে বৈধতাও। চিকিৎসকরা এবং অনেক পুরুষই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আর তার কারণ হলো, মারিজুয়ানার কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন এবং নানা ধরণের যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে।’
এমন অবস্থায় এইসেনবার্গ এবং তার সহকর্মীরা ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী পাঁচ হাজার আমেরিকানের উপর গবেষণা পরিচালনা করেন। তথ্য সংগ্রহ করা হয় ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত। একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় যেখানে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, তারা বিগত ১২ মাসে কতবার মারিজুয়ানা সেবন করেছেন। এছাড়াও সর্বশেষ ৪ সপ্তাহে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে কতবার শারীরিকভাবে মিলিত হয়েছেন সেই তথ্যও নেয়া হয়।
গবেষণা শেষে দেখা যায় যে, যে ব্যক্তিরা যত বেশি মারিজুয়ানা সেবন করেছেন, তারা তত বেশি শারীরিকভাবে বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। যারা প্রতিদিন মারিজুয়ানা সেবন করেছেন, তারা অন্যদের চেয়ে গড়ে ২০ শতাংশ বেশিবার সঙ্গীর সঙ্গে যৌনসঙ্গম করেছেন।
তবে মাইকেল এইসেনবার্গ জানিয়ে দিয়েছেন যে গবেষণাটি কাউকে মারিজুয়ানা সেবনে অনুপ্রাণিত করার জন্য নয়, বরং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য করা হয়েছে।
মারিজুয়ানায় উপস্থিত ক্যানাবিনয়েড মস্তিষ্কে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং যৌন আকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত মারিজুয়ানা সেবনের কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন, অর্গাজম ফ্রিকোয়েন্সিতে সমস্যা করতে পারে। এছাড়াও সন্তান ধারণে সমস্যা এবং ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যাও দেখা দিতে পারে মারিজুয়ানা সেবনের কারণে। সিএনএন