চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সেই শহীদ মিনার আজো প্রেরণার উৎস

বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন শুধু মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই ছিলো না, ছিলো বাঙালির অনন্য জাতিশক্তির বোধের বিকাশেরও উন্মেষপর্ব। এর ভিত্তিতেই ছয় দফায় স্বাধীন বাংলাদেশের রূপরেখা। পরে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ।

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের মাধ্যমে উপমহাদেশে দুশো বছরের ইংরেজ শাসনের সমাপ্তি। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই বোঝা গেল, পশ্চিম পাকিস্তান ভাষার প্রশ্নে পূর্ব পাকিস্তনকে সেই উপনিবেশিক শাসনেই রাখতে চাই।

পরের বছর পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি প্রত্যাখান করেন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান। মুহম্মদ আলী জিন্নাহও জানান, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। প্রতিবাদে রাস্তায় নামা বাঙ্গালীর মাতৃভাষার প্রশ্নে বোধের জাগরণের শুরুও তখন থেকেই।

১৯৪৮ সালের সেই সংগ্রাম পরিণতি পায় চার বছর পর ৫২’র ২১ শে ফেব্রুয়ারি। আগের রাত থেকে সভা সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ করা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে ছাত্রজনতা।

রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ। ভাষার জন্য শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা বীর বাঙালিরা। শোক পরিণত হয় বাঙ্গালীর অদম্য সাংস্কৃতিক এক শক্তিতে।

একুশের সেই চেতনা বাঙালির মধ্যে প্রবাহমান যুগের পর যুগ। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই প্রথম বোধে আসে বাঙ্গালীর সাংস্কৃতিক অদম্য শক্তির। ঐ শক্তির সূতিকাঘর শহীদ মিনার স্বাধীন বাংলাদেশে আজো প্রেরণার উৎস। যুগে যুগে এই শহীদ মিনার বাঙ্গালীর আত্ম চেতনা-জাগরণের স্তম্ভ হয়েই থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ আর বাঙ্গালী রবে এ বিশ্বে।

আরও বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে