দশ বছর ভারতের কারাগারে থাকার পর বর্তমানে বাংলাদেশের কারাগারে থাকা বাদল ফরাজীকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি – তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে এ রিটটি করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী মো: আসাদুল্লাহ।
এর আগে দিল্লির তিহার জেল থেকে গত ৬ জুলাই বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ঢাকায় ফেরত আনা হয় বাদল ফরাজীকে। পরে বিমানবন্দর থেকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ মে নয়াদিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধা খুনের মামলায় বাদল সিং নামের এক আসামিকে খুঁজছিল ভারতের পুলিশ।
ওই বছরের ১৩ জুলাই বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ ভুল করে বাদল ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে। ইংরেজি বা হিন্দি জানা না থাকায় তিনি বিএসএফ সদস্যদের নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি বাদল।
এরপর খুনের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বাদলকে দোষী সাব্যস্ত করেন দিল্লির আদালত। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে হাইকোর্ট সে সাজা বহাল রাখে।
তবে বাদল নির্দোষ এমন বিষয়টি জানার পর গত ১৯ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক করে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়।
সর্বশেষ পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেষ্টায় বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় বাদল ফরাজীকে দেশে আনা হয়।