২০১৫ সালে নেইমারকে হিসাবের বাইরে দেয়া হয়েছিল ১০ মিলিয়ন ইউরো। বার্সেলোনা এখন টাকাটা ফেরত চেয়ে নিচ্ছে মামলার প্রস্তুতিও। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডও সাবেক ক্লাবের থেকে ৬০ মিলিয়ন ইউরো ফেরত পাওয়ার জন্য মামলায় লড়বেন বলে খবর।
বাইরে থেকে দুই পক্ষের এমন পাল্টাপাল্টি মামলার খেলা দেখে যদি ভাবা হয় সাপে-নেউলে সম্পর্ক বার্সা-নেইমারের, তাহলে ভাবনাটা ভুল! স্পোর্ত জানাচ্ছে, নেইমারকে নিজেদের ক্লাবের ভবিষ্যৎ বানাতে এখনো স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে কাতালোনিয়ান জায়ান্টরা।
২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়নে পিএসজি চলে যাওয়ার পরও বার্সাকে জড়িয়ে নেইমারের সংবাদ শিরোনাম হওয়া কমেনি। একে অপরকে জড়িয়ে একাধিকবার যেমন মামলাতে জড়িয়েছে দুপক্ষ, তেমনি বিচ্ছেদের শোকে কাতর হতেও দেখা গেছে। ২০১৯ সালে পিএসজি শেষপর্যন্ত রুখে না দাঁড়ালে, হয়ত ফেও ন্যু ক্যাম্পেই খেলতে দেখা যেত ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে।
নেইমারকে নিয়ে বার্সার আবার নতুন করে চিন্তা করছে। সেটা আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ম্যাচে লিওনেল মেসির খেলা দেখে। ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড সেদিন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। দল করেছে ১-১ গোলে ড্র।
অতীতে যেকোনো মৌসুমের চেয়ে এবার মেসিকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছে। খেলাতেও পড়েছে বয়সের ছাপ। পেনাল্টি ছাড়া এ মৌসুমে কেবল একবারই নিজের যোগ্যতা দিয়ে গোল করতে পেরেছেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী ফরোয়ার্ড। মাঠের খেলায় আর্জেন্টাইন মহাতারকা যেন ক্লান্ত এক যোদ্ধা!
ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম স্পোর্ত বলছে, সবদিক বিবেচনায় এনে দ্রুতই মেসির বিকল্প খুঁজছে বার্সা। যথারীতি নেইমারই তাদের প্রথম পছন্দ। মেসি নিজেও তার বিকল্প হিসেবে সাবেক সতীর্থকে একাধিকবার ন্যু ক্যাম্পে আনতে চেয়েছেন। সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ সেই চাহিদা পূরণে ছিলেন ব্যর্থ।
নেইমার ন্যু ক্যাম্পে আসতে পারবেন কি না সেটা নির্ভর করবে বার্সার ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টের উপর। আগামী ২৪ জানুয়ারি হবে ক্লাব প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সভাপতির মর্জি আর ক্লাবের সামর্থ্যের উপর নির্ভর করবে নেইমারের ন্যু ক্যাম্পে প্রত্যাবর্তন।
অন্যদিকে নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে আলাপ-আলোচনা শুরু করে দিয়েছে পিএসজি। দুপক্ষের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত। সমস্যা হচ্ছে, নেইমারকে আনতে হলে বিশাল অঙ্কের অর্থ গুণতে হবে বার্সাকে। আর মেসি যদি চলতি মেয়াদ শেষে ক্লাব ছেড়ে চলে যান, তাহলে তাকে দিতে হবে ৩৩ মিলিয়ন ইউরো আনুগত্য বোনাস।
মেসিকে যদি এই অর্থ দিতেই হয়, তাহলে নেইমারকে কেনার জন্য তহবিলে পড়বে টান। তখন না মেসিকে আটকানো যাবে, না নেইমারকে কেনা হবে! একমাত্র ব্রাজিলিয়ান তারকাকে এনে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে সন্তুষ্ট করাই সবচেয়ে উপযুক্ত কাজ হবে বার্সার জন্য।