তারা সবাই এসেছিলেন একটি নারী উদ্যেগের সম্প্রসারণে উৎসাহ দিতে। আর যারা এসেছিলেন তারা সবাই তারকা। নিজ নিজ ক্ষেত্রে। কিন্তু তারকা পরিচয়কে দূরে সরিয়ে রেখে মিলিত হয়েছিলেন সৃষ্টির আড্ডায় সামিল হতে।
যার সৃজনশীলতা এবং উদ্যোগে তারা মিলেছিলেন তিনি এই তারকাদের সকলের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত না হলেও আবার পরিচিত। কারো সঙ্গে তার সরাসরি পরিচয় আবার কারো সঙ্গে কাজের মধ্যে দিয়ে পরিচয়। তিনি নিজেও নাটক-সিনেমা এবং মঞ্চে পোশাক ডিজাইন করেন।
প্রায় ৫০টি নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়াতে পোশাকের প্রতিষ্ঠান ‘এমিথ’ এর দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, ‘চাদনী’ নায়িকা শাবনাজ, তানভীন সুইটি, দীপা খন্দকার, ফারজানা চুমকী, নাজনীন চুমকী, কালিন্দী কণা এবং তাহমিনা সুলতানা মৌ।
যাত্রা শুরুর ১৬ বছর পর ‘এমিথ’ তার দ্বিতীয় শাখা খুলল রাজধানীর লালমাটিয়াতে। শাখা উদ্বোধন নিয়ে ‘এমিথ’ কর্ণধার সাজিয়া লুবনা বলেন: আমার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং তিন সন্তান আমার প্রথম পরিবার। তারপর এই এমিথ। ১৬ বছর পর এর দ্বিতীয় শাখা খুলছি এবং এর উদ্বোধনে যারা এসেছেন তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’ তিনি আরো জানান, স্বামী শ্বশুর শাহ মুহাম্মদ মাহবুবুল্লাহ, শ্বাশুড়ি রহিমা মাহবুব এবং স্বামী শাহ আহমেদ জুবায়ের এর পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া এই পথ চলা সহজ হতনা।
সর্বশেষ তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘ফাগুন হাওয়ায়’ পোশাক ডিজাইন করেছেন বলে জানান সাজিয়া আফরিন লুবনা।
শাড়ি এবং থ্রি পিস মূলত বৈশাখ উপলক্ষ্যে ডিজাইন হয়েছে জানিয়ে সাজিয়া লবুনা জানান তিনি নাট্যদল নাট্যকেন্দ্র এর সদস্য। আড্ডায় দিলারা জামান বলেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহস লাগে। পরিবার সামলে স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে মানসিক দৃঢ়তা লাগে। লুবনার এমিথের দ্বিতীয় শাখা এ স্বপ্নের অসাধারণ বাস্তবায়ন। বিশ্বাস করি এমিথ সারা দেশে তারা শাখা উন্মুক্ত করবে।
‘চাঁদনী’ খ্যাত এক সময়ের তারকা নায়িকা শাবনাজ বলেন, এমন উদ্যোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে । একজন নারী কীভাবে সব সামলে তার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে চলে এটি তার বড় প্রমাণ।
আড্ডায় জানানো হয় সপ্তাহে একদিন ‘এমিথ’ প্রাঙ্গণে আড্ডার আয়োজন হবে। তাতে থাকবে গান কবিতার আসর।
প্রদীপ প্রজ্বলন আর ফিতা কাটা দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এমিথ’ এর দ্বিতীয় শাখার পথ চলা। পরে বৈশাখের খাবার আর আড্ডায় কাটে সময়। দশ তারকা এবং অন্যান্যদের গল্পে কথায় আর কেনাকাটায় মুখর হয় এমিথ।
‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গান গেয়ে যখন শেষ হয় আড্ডা তখন যেন শেষ হয়ে হইলনা শেষ এর অতৃপ্তি থেকে যায়।