দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে স্থায়ী ভাবে সিলেটে ফিরেছেন খাদিজা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমানযোগে তাকে ঢাকা থেকে সিলেটে আনা হয়। এ সময় অনেকটা সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে সে বিমানবন্দরের বাইরে আসে। এসময় তার সঙ্গে পিতা মাশুক মিয়া ও ভাই শাহিন আহমেদ সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বিমানবন্দরে নেমে হামলাকারী বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন খাদিজা বেগম। সেখানে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে খাদিজা বলেন, বদরুলেরও যেন সঠিক বিচার হয়। সেই সঙ্গে তিনি তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
খাদিজার স্বজনরা জানান, বর্তমানে খাদিজা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চিকিৎসকরা খাদিজাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠিয়েছেন । তবে পুরো পুরি সুস্থ হতে আরো সময় লাগবে । রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষী দেওয়ার কথা রয়েছে তার। এর আগেও সাক্ষী দেওয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি খাদিজা।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে মারাত্মকভাবে আহত হন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা ।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুস্থ হওয়ার পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে খাদিজাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। পরে তাকে নেয়া হয় সাভারের সিআরপিতে। বাম হাত ও বাম পায়ের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য তাকে সিআরপিতে নেয়া হয়েছিল। ‘প্রায় তিন মাসের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার পর খাদিজা এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। তিনি দৈনন্দিন কাজকর্ম একাই করতে পারেন। তবে হেড ইনজুরি সারতে পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।