দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪২৫তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৬৯৮ জনসহ মোট সাত লাখ দুই হাজার ১৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন। নতুন ৪১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৯৬ জনে।
সর্বশেষ এরচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ২৮ মার্চ; সেদিন ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত ৩৭ দিনে তা এর নিচে নামেনি।
করোনায় গত মাসের ১৯ তারিখ সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল ৬১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২১ হাজার ৫৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৮২২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আট দশমিক ৪৪ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪১ লাখ ছয় হাজার ৭২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৮টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩ নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ৬৯ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৬৯৮ জনসহ মোট সাত লাখ দুই হাজার ১৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী। তাদের মধ্যে সবারই হাসপাতালে (সরকারীতে ২৬ জন, বেসরকারীতে ১৪ জন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১১ হাজার ৭৯৬। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত আট হাজার ৫৬৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং তিন হাজার ২৩০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৪১ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দুই জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৪ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে দুই জন, খুলনা বিভাগে এক জন, বরিশাল বিভাগে দুই জন ও সিলেট বিভাগে দুই জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ৫৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩২ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩ কোটি ৩৩ লাখের বেশি।