চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সুস্থ থাকুন বৈশাখে

যত রোদই থাকুক, বৈশাখের প্রথম দিনে ঘুরতে বের না হলে চলে? বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। তাই রোদ, ঝড়, বৃষ্টি যাই থাকুক, সব বয়সী মানুষ এইদিনে ঘুরতে বের হয়। তবে প্রতিদিন যাদের কড়া রোদে বাইরে বের হওয়ার অভ্যাস নেই, হুট করে একদিন বের হয়ে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের। তাই প্রচণ্ড গরমে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতার। বৈশাখের প্রথম দিন তো বটেই, পুরো গ্রীষ্মেই সুস্থ থাকতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

বৈশাখের প্রথম দিনে পাতলা সুঁতি কাপড় পড়ুন। গাড় রঙ এড়িয়ে হালকা রঙের পোশাক বেঁছে নিন। ছোট শিশুদের নিয়ে বাইরে বের হলে তাদেরকে হাত কাটা পোশাক পরিয়ে দিন। সম্ভব হলে হিল জুতা এড়িয়ে চলুন। কারণ বৈশাখের প্রথম দিনটায় অনেক পথ হাঁটতে হতে পারে। হিল জুতা পরে বেশি হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

ব্যাগে ছাতা রাখবেন। এতে প্রচণ্ড রোদের থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন। একটি পানির বোতলও রাখবেন ব্যাগে। এছাড়াও টিস্যু রাখবেন সাথে। অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হবেন। যেখানেই যান, ছায়ায় থাকার চেষ্টা করবেন।

প্রচণ্ড গরমে খাবারদাবারের ব্যাপারে একটু সচেতন না হলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। বৈশাখের প্রথম দিনে সুস্থ থাকতে হলে কী খাওয়া উচিত এবং কী এড়ানো উচিত সেই প্রসঙ্গে ‘ডায়েট অ্যান্ড ফিট’–এর পুষ্টিবিদ আদিবা ফারজিন কিছু পরামর্শ  জেনে নিন—

  • তৃষ্ণা থাকুক আর না থাকুক, প্রচুর পানি পান করতে হবে। গরমের দিনে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় ঘাম বেশি হয়। ফলে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যায়। এজন্য কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত।
  • কোমল পানীয়, চা-কফি এবং অতিরিক্ত মিষ্টি পানীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • প্রচণ্ড গরমে খুব বেশি ঠাণ্ডা পানি পান না করাই ভালো। কারণ এর ফলে শরীরে পানির চাহিদা পূরণের আগেই পিপাসা মিটে যায় এবং গলা ব্যথা হতে পারে।
  • মসলা ও লবণ যুক্ত খাবার, ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রচণ্ড গরমে ভাজাপোড়া খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
  • রসালো ফল, সবজি, ড্রেসিং ছাড়া সালাদ, লেবুর শরবত, ডাবের পানি অথবা লাচ্ছি খাওয়া যেতে পারে।
  • বাইরের খাবার না খাওয়া ভালো। আর বাইরে খেলেও পচা, বাসী খাবার থেকে সাবধান হতে হবে।

অতিরিক্ত ভোজন এবং হাঁসফাঁস গরম, দুটো মিলিয়ে নাজেহাল হতে হয় পহেলা বৈশাখের দিনটায়। ফলাফল হিসেবে পরের দিন পেটের পীড়ায় আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। তাই আনন্দের এই দিনটিকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্য সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।