বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন: সুষ্ঠু নির্বাচনের উল্টোপথে হাঁটছে সরকার। আওয়ামী লীগ কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। একতরফা নির্বাচনের জন্যই তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অর্থই হচ্ছে- স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থার বারোটা বেজে যাওয়া। আওয়ামী লীগ কখনোই প্রতিযোগিতামূলক অবাধ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। নিজেদের স্বার্থে যখন যা ইচ্ছা তাই তারা করতে পারে।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সরকারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন: ‘তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছে, আবার তারাই সংবিধান থেকে সেটি মুছে দিয়েছে। কোন আধুনিক সভ্য রাজনৈতিক দল একের পর এক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বখাটে আচরণ করতে পারে না। এই যে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা, এর মধ্য দিয়েই প্রমাণ হয়, সেই ব্যর্থ বাকশালে ফিরে যেতেই যতো আয়োজন করা হচ্ছে। সংলাপ, নির্বাচন, তফসিল ঘোষণা সবই তামাশার নামান্তর মাত্র।’
বিএনপির এই নেতা বলেন: ৭ দফা দাবিকে অগ্রাহ্য করেই একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্যই বছরের পর বছর ধরে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা-গ্রেপ্তার-হত্যা-গুপ্তহত্যা-ক্রসফায়ারের মতো পৈশাচিক নির্মমতাকে কাজে লাগানো হয়েছে বিরোধী দল দমনে।
‘তারা জনগণকে ভয় পায় বলেই দেশের বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকেও বানোয়াট মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে’, বলেন রিজভী।
সরকারপ্রধানের নির্দেশে বেগম জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়েই জরাজীর্ণ, পরিত্যক্ত ও বসবাসের অনুপযোগী নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন: শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতেই নির্বাচন কমিশন যাবতীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে। এজন্য আগামী নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার বা নির্বাচনী মাঠ সমতল করার কোন গরজ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নেই। আর সেজন্যই একতরফা নির্বাচনের জন্য তড়িঘড়ি করে কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে।