বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানা আয়োজন শুরু হয়েছে। আর আড়ম্বপূর্ণভাবে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রস্তুত সুরের ধারা। আর এবার তাদের রজত জয়ন্তী উৎসব! ফলে বর্ষ বরণ করে নিতে আরো প্রাণবন্ত সুরের ধারা।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে কী কী আয়োজন থাকছে তা বিস্তারিত জানাতে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করে সুরের ধারা ও চ্যানেল আই। চ্যানেল আই ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও অধ্যাপক শফি আহমেদসহ অনেক গুণীজন।
সংবাদ সম্মেলনে সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন: সুরের ধারার রজত জয়ন্তী উৎসব হবে চার দিনব্যাপী। ১১ তারিখে শুরু হয়ে ১৪ তারিখে শেষ হবে। এই উৎসবে সারাদেশের সুরের ধারার শিল্পী, কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ছাড়াও সকল রবীন্দ্রপ্রেমী শিল্পীদের একত্র করতে চাই। এজন্য প্রথমদিন ১১ তারিখ সারাদেশের সবগুলো জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধিরা আমাদের উৎসবে যোগ দেবেন। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার উপস্থিতির জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
সুরের ধারার এবারে আয়োজন নিয়ে তিনি আরো বলেন: সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, এখানে দেশের উত্তর পঞ্চগড় থেকে যেমন শিল্পী আসছেন, তেমনি দক্ষিণ এলাকা সুন্দরবন থেকেও শিল্পী আসছেন। তেমনি পূর্বের এলাকা বান্দরবান থেকেও শিল্পী আসছেন। সারা বাংলাদেশের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা এই উৎসবে যোগ দিচ্ছেন। তারা নিজদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে পারবেন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা মনে করেন, আমাদের দেশের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীদের পাশাপাশি দেশের বাইরের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীরা এতে যোগ দিয়ে পূর্ণতা দান করবেন। এখানে গান, নাটক সবই হবে। সবচেয়ে বেশি যেটা হবে সেটা হলো শিল্পীর সাথে শিল্পীর পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হবে। এছাড়া সারাবছর যেসব শিল্পীরা নিরবে কাজ করেন তারা নাগরিক জীবনের সঙ্গে নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন। তাদের মতামত জানাতে পারবেন।
তিনি বলেন: সুরের ধারার মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি ও সুস্থ সংস্কৃতি তৈরি হবে। এছাড়া ভালো গানের ও সংস্কৃতি চর্চার দেশ হিসেবে তৈরি করতে পারব। এবারের উৎসবে শ্রুতি গীতবিতানের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ হবে। প্রথম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটি উদ্বোধন করবেন বলে জানান বন্যা। আমাদের সবার ঘরে যেমন একটা করে সঞ্চিতা থাকে, তেমনি এখন থেকে শ্রুতি গীতবিতান থাকবে।
সংবাদ সম্মলনে শাইখ সিরাজ বলেন, গত ছয় বছর সুরের ধারা ও চ্যানেল আই একসঙ্গে কাজ করে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যের উন্নয়ণ ঘটিয়েছে। আমরা পরস্পরকে একই পরিবারের মানুষ বলে গন্য করি। অন্যান্য বারের মতো এবারের আয়োজনটিও উপভোগ্য হবে।
বঙ্গববন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উৎসবের উদ্বোধন হবে ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে তিনটায়। দুইদিনের সেমিনার ছাড়াও উৎসব জুড়ে থাকবে নৃত্য গীত আবৃত্তি ও নাটকের সংমিশ্রণ। এছাড়াও বর্ষ বিদায়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব আর ১৪ এপ্রিলে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বাঙালি প্রাণের বৈশাখকে প্রকৃতির রঙ আর হাজারো কণ্ঠে বরণ করবে চ্যানেল আই ও সুরের ধারা। আর বর্ষ বরণের মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হবে চারদিনের বর্ণিল এই উৎসবের।
ছবি: সাকিব উল ইসলাম