চট্টগ্রাম থেকে: ঢাকা আবাহনীর হয়ে মাত্র এক মৌসুম খেলেছিলেন লি টাক। তাতেই আকাশী-নীল জার্সির ভক্তদের মন জয় করে নেন ব্রিটিশ ফুটবলার। সেই লি আবারও বাংলাদেশে, এবার মালয়েশিয়ার দল তেরেঙ্গুনা এফসির অধিনায়ক হয়ে। সুযোগ পেলে আবারও বাংলাদেশের কোনো ক্লাবে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিলেন চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে।
নিজেদের লিগে সপ্তম হয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে খেলতে এসেছে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গুনা। ঘরোয়া আসরে আলো ছড়িয়েছেন লি। তাই তার হাতে এবার অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছার কথা জানালেও এই অধিনায়কত্বের কারণে সেটা বিলম্বিত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিলেন।
‘এটা সম্ভব (বাংলাদেশে ফেরা)। যদি কখনও সুযোগ পাই অথবা আমার ইচ্ছা হয় তাহলে হয়ত আসবো। এখন আমি মালয়েশিয়ার ক্লাবটিতে আছি। সেখানে আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে আমি দলটির সাথে অনেক আনন্দ করছি। তবে ভবিষ্যতে আসতেও পারি।’
নিজেই জানিয়েছেন মালয়েশিয়াতে সুখেই আছেন। পাশাপাশি সেখানে তার আয়ও বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। সেই প্রসঙ্গ ধরেই মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের পার্থক্যটা কোথায় জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে। লি টাক জানালেন, দুই দেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কাঠামোতে।
‘আমার মনে হয় মালয়েশিয়ার টিমগুলো অনেক বেশি গোছানো। কৌশল, ধরণে অনেক এগিয়ে আছে মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের চেয়ে তাদের ক্লাবগুলো অবশ্য অল্পকিছু এগিয়ে আছে। কিন্তু ফুটবলে বাংলাদেশের সামর্থ্য অনেক বেশি। আমি বিশ্বাস করি, খেলোয়াড়দের সঠিক পরিচর্যা করলে আরও ভালো হওয়া সম্ভব।’
বাংলাদেশ ফুটবলের অগ্রগতি নিয়েও বেশ আশাবাদী লি। সরাসরি না দেখলেও বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচেও চোখ ছিল তার, ‘আমি বাংলাদেশে খেলেছি। তাদের ফুটবল ডে বাই ডে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এমন অগ্রগতি দেখে আমি অনেক খুশি।’
‘ভারতের সাথে খেলাটা আমি দেখতে পারিনি। কিন্তু তাদের ফলাফল দেখেছি, এবং খেলার রিপ্লে দেখেছি। বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে। আগের থেকে তাদের খেলায় অনেক উন্নতি এসেছে। আমি হেড কোচকে এখানে এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’
বাংলাদেশ ছাড়লেও হৃদয়ের এক কোণে ঠিকই আগলে রেখেছেন এই দেশের স্মৃতি। এখনও স্মৃতিটা বেশ নাড়া দেয় লিকে, ‘আমার আমার অভিজ্ঞতাগুলো সতীর্থদের সাথে শেয়ার করেছি। আমি আমার সতীর্থদের মিস করি। তাদের সাথে ফুটবল খেলতে আনন্দ পেতাম। ফুটবলে বাংলাদেশের কথা আমি সবসময় মনে করি।’
যে সতীর্থদের সঙ্গে ও যে দলের হয়ে খেলতেন লি, সেই আবাহনী এবার অংশ নিচ্ছে না শেখ কামাল টুর্নামেন্টে। একদম শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নিয়েছে নাম। সাবেক ক্লাবের এমন কাণ্ড পোড়াচ্ছে তাকেও, ‘আমি খুবই হতাশ। যে ক্লাবে খেলেছি, সেই ক্লাবটি শেষ মুহূর্তে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়নি। ভালো প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ খেলা হতো। তাদের বিপক্ষে খেলতে পারলে, কিংবা তাদের সাথে দেখা করতে পারলে ভালো লাগত।’