চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সুবিধামত ‘পরিবেশ’ পেলে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আফগানিস্তান

খানিকটা দেরীতে হলেও চেনা আবহাওয়া, ঘরের মাঠের সুবিধা নেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। সেটা কাজে লাগিয়ে নাস্তানাবুদ করেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিদের। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান সেই সুবিধাটা পায় না। গত বছর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের ম্যাচটা তাদের খেলতে হয়েছে কোহলিদের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে। আপাতত ভারতের দেরাদুনই আফগানদের হোম ভেন্যু। অন্যের ভূমিতে খেলা গেলেও তা আপন করে নেয়া কঠিন। তাইতো খেলতে খেলতে নিজেদের জন্য একটা সহায়ক পরিবেশের খোঁজ করে চলেছে দলটি। সেটা পেলেই বাংলাদেশের মতো হয়ে উঠতে চায় রশিদ খানের দল।

‘আমরা এই ফরম্যাটে(টেস্ট) নতুন। একবার যদি আমরা ছন্দ আর নিজেদের জন্য সহায়ক পরিবেশ পেয়ে যাই, তাহলে যেকোনো দলকেই হারাতে পারবো। আমরা বাংলাদেশের খেলা দেখেছি, তারা নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। যেমনটা দরকার ঠিক সেটা পেলেই আপনি যেকোনো দলকে হারাতে পারবেন’ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে রশিদ খান এভাবেই জানিয়েছেন নিজেদের আকাঙ্ক্ষার কথা।

২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে মাত্র দুদিনেই ম্যাচ হেরেছিল আফগানরা। চলতি বছর আরেক নতুন দল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয় টেস্টেই পায় জয়ের স্বাদ। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অঘটন ঘটাতে চান রশিদরা।

‘বড় দল-ছোট দল, যে দলের বিপক্ষেই জিতুন না কেনো, প্রতিটা জয়ই আত্মবিশ্বাস আর শক্তি যোগায়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে এগুলো আমরা অর্জন করেছি। সে ম্যাচে আমরা ব্যাটিং ভালো করেছিলাম। বুদ্ধিমানের মতো বোলিং-ফিল্ডিং করেছিলাম। আর সেগুলোই জয়ের জন্য আমাদের পূর্ণ আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।’

‘প্রথম ম্যাচটা থেকে আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে ৮০-৯০ শতাংশ ভালো ছিলাম। সুতরাং, আমরা যত খেলবো আমাদের দলটা তত ভালো হবে। দুই দলেরই জেতার সমান সুযোগ আছে। দুই দলের খেলোয়াড়রাই পেশাদার, অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ম্যাচে ধৈর্য্যকেই শক্তি মানছেন রশিদ। প্রথমবারের মতো টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে নামার আগে দলকে দিলেন সহ্যের দীক্ষা, ‘ বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে বেশি খেলা অভিজ্ঞ এক দল। টেস্টে প্রতিটা ম্যাচ থেকেই শেখার আছে অনেক কিছু। আমাদের কাছে এই ফরম্যাটের ক্রিকেটটা নতুন। আমাদের অসংখ্য প্রতিভা আছে। সবাইকে শুধু ধৈর্য্য সহকারে খেলতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে হবে। এই খেলাটাই হল সহ্যের। ’