নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউপির মধ্যম বাগ্যা গ্রামে ভোটের দিন রাতে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
হেঞ্জু মাঝি নামে ওই ব্যক্তিকে কুমিল্লা দাউদকান্দি থেকে নোয়াখালীর গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার আটক করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল খায়ের জানান, এই মামলায় পুলিশের তদন্ত এবং ভুক্তভোগী ও ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জবাদবন্দিতে ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে হেঞ্জু মাঝির নাম উঠে আসে।
ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা ওই নির্যাতিত নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে ম্যাজিস্ট্রেট। আর এরই মধ্যে আদালতে গ্রেপ্তারকৃত ১০ আসামির মধ্যে ৭ জনের প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চরজব্বর থানার ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল ৭ আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ডে ২ আসামী তাদের অপকর্মের দায় স্বীকার করেছে।
আসামিরা হলো- মূল ইন্ধনদাতা সাবেক ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন, মূল হোতা হাসান আলী বুলু, প্রধান আসামি সোহেল, স্বপন, বাদশা আলম ওরফে বাসু , বেচু ও জসিম।
পুলিশ সূত্রমতে, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের রাতে মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে নির্যাতন করে ও পিটিয়ে আহত করে।