ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে ছাত্রদল কর্মীকে রক্তাক্তের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের গাড়ি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাহিদ চৌধুরী নামের ওই ছাত্রদল কর্মীকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে এখান থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনের মধ্যেই হামলার শিকার হন লিখন চৌধুরী নামের আরেক ছাত্রদল কর্মী।
এই হামলার ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় এক আইনজীবীর ওপর হামলা করা হয় বলে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট। মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের ট্রেজারার কামাল হোসেন, আইনজীবী ব্যারিস্টার সফিউল আলম মাহমুদ, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে আইনজীবীর ওপর বহিরাগতের হামলার নিন্দা জনিয়ে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে বহিরাগতের হামলার ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, আগামী রোববার থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়। দোয়েল চত্বর এলাকায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের মিছিলটি দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছু দূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রদল পিছু হটে। এসময় দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে।
একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কেউ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢোকে। কেউ কেউ ঢুকে পড়ে হাইকোর্টের ভেতরে। সেসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশকে লাঠিসোঁটা নিয়ে হাইকোর্টের ভেতর ঢুকতে দেখা যায়।