সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আইনজীবী সমিতি ভবনের শফিউর রহমান মিলনায়তনে বুধবার সকাল ১০টায় প্রথম দিনের এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
ভোটের দুদিনই দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নির্বাচন পরিচালনা করছেন। এই নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৩৩ জন।
সমিতির বিধিমালা অনুযায়ী, রাজনৈতিক প্যানেলের পরিচয়ে প্রচারণার সুযোগ নেই। তবে সাধারণ আইনজীবীদের কাছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা) ও বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেল হিসেবে পরিচিত।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত (সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ) প্যানেলে থেকে সভাপতি পদে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন (এ এম আমিন উদ্দিন)। সম্পাদক পদে আইনজীবী আব্দুন নূর দুলাল, সহ-সভাপতি পদে মো. জসিম উদ্দিন ও বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, সহ-সম্পাদক পদে বাসির উদ্দিন ভূঁইয়া এবং কাজী শামসুল হাসান শুভ, ট্রেজারার পদে সৈয়দ আলম টিপু।
এছাড়া সদস্য পদে মোহাম্মদ জগলুল কবির, মশিউর রহমান, শামীম সরদার, আফিয়া আফরোজি রানী, আওলাদ হোসেন, হুমায়ূন কবির, চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
আর বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন। সহ-সভাপতি পদে মো. আব্দুল জব্বার ভূইয়া, আব্দুল বাতেন, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. ইমাম হোসেন। সহ-সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান এবং শরীফ ইউ আহম্মেদ।
এছাড়াও সদস্য পদে রাশিদা আলিম ঐশী, মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী, কাজী আখতার হোসেন, মো. শাফিউর রহমান, মো. সাইফুদ্দিন উদ্দিন রতন, মো. মোহাদ্দেস উল ইসলাম ও সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি প্রার্থী হয়েছেন।
এদিকে স্বতন্ত্র থেকে এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান ও মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। সম্পাদক পদে মনির হোসেন, সহ-সম্পাদক পদে ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া ও সদস্য পদে তপন কুমার দাস নির্বাচন করছেন।
এবারের নির্বাচনে ৭ হাজার ৮২৫ জন আইনজীবী ভোটার রয়েছেন। এ ভোটারদের ধারণা বরাবরের মত এবারো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের মধ্যেই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
গত বছর এ নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১০টি পদে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা বিজয়ী হন। আর চারটি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।