আজ ১৫ নভেম্বর। সুপার সাইক্লোন সিডরের দশ বছর। এ দিন সিডরের আঘাতে প্রাণ হারায় কয়েক হাজার মানুষ। মারা যায় অসংখ্য গৃহপালিত ও বন্য পশু। বিধ্বস্ত হয় বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নষ্ট হয় প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমির ফসল।
সুপার সাইক্লোনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট এবং পিরোজপুর জেলা।
সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উপকূলীয় এলাকার জীবন-জীবিকা, পরিবেশ-প্রতিবেশ, কৃষি ও অর্থনীতি। সেই ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলবাসী।
সরকারি হিসেবে সাইক্লোন সিডরের কারণে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। নিখোঁজ হয় ১ হাজারের বেশি। মারাত্মক আহত হয় ৫৫ হাজার। প্রায় ২ লাখ ঘড়-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ফসল নষ্ট হয় প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমির। গবাদি পশু মারা যায় প্রায় ৩১ হাজার। ১ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বে-সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরো বেশি। তাই সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের দাবি জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান
উপকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম করে গড়ে তোলা এবং তাদের স্বাবলম্বী করতে প্রকল্প হাতে নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।