সুনামগঞ্জে পাহাড়ী ঢল আর অবিরাম বৃষ্টিতে রোপা আমন ধান, বীজতলা সবজি ক্ষেত আর মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় একই রকম ক্ষতি হয়েছে।
ফসল ডুবে যাওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই কয়েক হাজার কৃষক বিপাকে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে রোপা আমনের চারা সংকট দেখা দিয়েছে। দুই তিন গুণ দাম দিয়েও ধানের চারা পাচ্ছে না কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, এখন বীজ ফেললে তা দিয়ে আর ধান রোপণের আর কোন আশা ভরসা নাই। আগে যেখানে তিন’শ টাকা দিয়ে বীজ কেনা যেত এখন সেটা পনের’শ টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না।
মাছ চাষিরা জানিয়েছেন, ভেসে গেছে প্রায় পাঁচশ পুকুরের মাছ। তাদের হিসেবে বন্যায় প্রায় ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকা। মাছ চাষিদের একজন বলেন, আমরা এ মৌসুমে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এখনো কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে পারেনি।
সুনামগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমরা আশা করছি দু তিন দিনের মধ্যে বন্যার পানি সরে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে এবং পূর্ণাঙ্গ ক্ষতির পরিমাণ জানতে পারবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে, আট হাজার একশ বিশ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে। ৫৫ হেক্টর বীজতলা ৫৩ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত।