সেনা অভ্যুত্থানের দুই দিনের মাথায় আবারো বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সুদানে। সেনা শাসনের বদলে বেসামরিক শাসনে ফিরে যেতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে সুদান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন (এসপিএ)।
এসপিএ’র নেতাদের দাবি, সেনা শাসনের অধীনে থাকলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে না।
বিবিসি জানায়, সুদানে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে বৃহস্পতিবার ক্ষমতাচ্যুত করে আটক করে সেনাবাহিনী।
প্রেসিডেন্টকে আটক করে সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দুই বছর সেনাবাহিনী দেশটি পরিচালনা করবে। এছাড়া আগামী তিন মাস দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলেও ওই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী খার্তুমে সেনা সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ মোহাম্মেদ আহমেদ ইবনে আউফকে প্রেসিডেন্টের স্থলাভিষিক্ত করে।
কিন্তু এর দুই দিন পরই এসপিএ রাজধানী খার্তুমে সেনা শাসনের বিরোধীতা করে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে বেসমারিক শাসনে ফিরে যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। আওয়াদ মোহাম্মেদ আহমেদ ইবনে আউফ ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের কাছের লোক।
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আওয়াদ মোহাম্মেদ আহমেদ ইবনে আউফকে সরানোর ব্যাপারে রাজি হয় সেনাবাহিনী। নতুন নেতা আউফ নিজে সরে গিয়ে তার জায়গায় লে. জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আবদেলরহমানকে বসানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু এই আশ্বাস বিক্ষোভকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তারা তাদের অবস্থান অটল রেখে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
‘‘নেতাদের খামখেয়ালিভাবে নেয়া সিদ্ধান্ত যা সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না’’ বিলোপ করার দাবি জানিয়েছে তারা। এছাড়া জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত সাবেক সরকারের ব্যক্তিদের আটকের দাবি জানিয়েছে তারা।
এসব দাবি বাস্তাবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দেয় এসপিএ।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে বিপথগামীদের গুলিতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে।