‘নদীতে দিয়েছে হানা দস্যু রাঘব/প্রতিবাদ প্রতিরোধে রুখবো সব’- স্লোগানকে সামনে রেখে সুতিয়া ও ক্ষিরু নদীর মিলনস্থল গাজীপুর ও ময়মনসিংহ জেলার সীমান্ত ত্রিমোহনিতে এক মানববন্ধন আয়োজন করে সুতিয়া ও ক্ষিরু নদী রক্ষা পরিষদ।
নদীর নির্মল জল ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে গফরগাঁও উপজেলার গয়েশপুর ও শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের তরুণ সমাজ নিয়ে গঠিত ‘সুতিয়া ও ক্ষিরু রক্ষা পরিষদ’ উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
১৯ মার্চ শুক্রবার বেলা ৪টায় সুতিয়া ও ক্ষিরু নদী রক্ষা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে, সভাপতিত্ব করেন ড. এ কে এম রিপন আনসারী, সভাপতি, গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব।
রাহাত আকন্দের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মো. আরিফুল ইসলাম। আরো বক্তব্য রাখেন মো. শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব, মো. ইসমাঈল হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব।
আরো বক্তব্য রাখেন, মো. খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক, পরিব্রাজক দল শ্রীপুর উপজেলা, কলামিস্ট সাঈদ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক নদী পরিব্রাজক দল, শ্রীপুর উপজেলা, খায়রুল ইসলাম মীর, সাধারণ সম্পাদক কাওরাইদ যুব পরিষদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে নদী সংলগ্ন স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক বছরে ভালুকা ও ত্রিশাল এলাকায় গড়ে উঠা বিভিন্ন কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলে নদীর নির্মল জল কালো ও বিষাক্ত জলে পরিণত হয়েছে। যার ফলে নদীর আশেপাশের এলাকায় চরম দুর্গন্ধ জনজীবন অসহনীয় করে তুলেছে। বিষাক্ত রাসায়নিক থাকায় নদীতে কোন জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ নেই। প্রাণ ও প্রকৃতি ব্যাপকভাবে ধ্বংসের সম্মুখীন। নদী সংলগ্ন যে কৃষি জমি তা এখন অনুর্বর ও ফসল ফলানোর অনুপযোগী।
এলাকাবাসী জানায়, ঐতিহ্যগতভাবে সুতিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। নদীটি ত্রিশাল, ভালুকা, হয়ে শ্রীপুর ও গফরগাঁও উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষ্যার সাথে মিশেছে। যে নদীকে কেন্দ্র করে তার উপকূলে গড়ে উঠেছিলো নগর সভ্যতা আর অতি সভ্যতার অসভ্যতায় নদীটি মৃতপ্রায়। নদী থেকে আসা দুর্গন্ধ তাদের জীবনযাত্রা বিপণ্ন পর্যায়ে। তাদের কৃষি জমির ব্যাপার ক্ষতি হচ্ছে এবং নদীতে কোন ব্যাঙ পর্যন্ত নেই।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন গয়েশপুর জনকল্যাণ সংঘের সদস্যবৃন্দ, শ্রীপুর নদী পরিব্রাজক দলের সদস্যবৃন্দ, বাস্তব বিশ্লেষণ সমাজ সংঘ, চেতনা ৭১ ও স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যরা।