সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পরও পাকিস্তানের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের শেকড় সমূলে উৎপাটিত হলো বলে মনে করে গণজাগরণ মঞ্চ। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের ফাঁসির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত নিষিদ্ধের পথ সুগম হলো।
যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানালেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
ফাঁসি কার্যকরের খবর পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দায়মুক্তির উল্লাসে মাতোয়ারা হয় শাহবাগ। ফুল ছিটিয়ে, মিষ্টিমুখ করে জাতির কলঙ্কমুক্তির বিশেষক্ষণের উদযাপন করছেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
শুধু শাহবাগ নয় কলঙ্কমুক্তির উৎসবে মেতেছেন চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চ। চট্টগ্রামের কুখ্যাত সাকা ফাঁসির দড়িতে ঝুলে যাওয়ায় গ্লানিমুক্তির সুবাতাস বইছে রাউজানের গণজাগরণ মঞ্চে। মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনতা।
দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির পর শাহবাগে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, দুই যুদ্ধাপরাধীর একদিনে ফাঁসি কার্যকর জাতির বিজয়। কলঙ্কমুক্তির এই মুহুর্তে গণজাগরণ মঞ্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লক্ষ শহীদ, শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে স্মরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, ফাঁসির আগে মৃত্যুভয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে এই দুই ঔদ্ধত্য যুদ্ধাপরাধী এতদিন অস্বীকার করা অপরাধ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে। তারা দেখিয়ে দিলো তাদের আদর্শের কথা ছিলো শুধুই প্রতারণা।
প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দুই যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে অভিনন্দন জানান তিনি।