চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় ৫ম দিনের তল্লাশি শেষে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে সিএমপির বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। সর্ব শেষদিনের তল্লাশিতে সেখানে আরও ১টি বোমা ও ৯টি বোমা তৈরির জেল উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত শক্তিশালী বোমাটি নিস্ক্রিয় করেছে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দলটি।
এর আগে শনিবার সীতাকুণ্ড সদরের প্রেমতলার আলোচিত সেই ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানা থেকে অভিযানের তৃতীয় দিনে প্রায় ৩০০ লিটার তরল বিস্ফোরক উদ্ধার করে চট্টগ্রাম পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
সেসময় ছায়ানীড় ভবনে জঙ্গিদের ব্যবহার করা একটি কক্ষে ১৬টি শক্তিশালী বোমা, বিপুল পরিমাণ কম শক্তিশালী বোমা, প্রতিটি ৪০ লিটারের ৫ ড্রাম ভর্তি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, একটি ড্রামে ৫০ লিটার এসিড এবং অন্য একটি রুমে ১২টি হ্যান্ড গ্রেনেড পায় তারা।
এসব বিস্ফোরক দ্রব্য সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে অনুষ্ঠিত শিব চতুর্দশী মেলার সময় মজুদ করে জঙ্গিরা। অনেক বোমা জঙ্গিদের বাড়িতেই তৈরি করা হয় বলে ধারণা বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের।
উদ্ধার করা বোমাগুলোর নিরাপদ বিস্ফোরণ ঘটান সিএমপির বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। তবে আস্তানায় এখনো বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম রয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এর আগে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার অভিযানের সময় একটি কক্ষে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে গেলে তখন বোমা তল্লাশি ও নিষ্ক্রিয়ের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রবারও সারাদিন এলাকাটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ১৫ই মার্চ বুধবার সন্ধ্যার পর সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদে ‘সাধনকুটির’ নামের একটি বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনা নামের দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই নারীর গায়ে আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট ছিল। সাধনকুটির থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পরে সীতাকুণ্ডের প্রেমতলার ছায়ানীড় নামের একটি বাড়িতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোয়াট টিমের নেতৃত্বে শুরু হয় ‘অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন’।
এতে নব্য জেএমবির এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকে পরে এক শিশুর মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়। সেখানে প্রচুর বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়।