ক্রিকেট নিয়ে তার আগ্রহের মাত্রাটা সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয়। রাষ্ট্র সামলানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেও তিনি ক্রিকেট নিয়ে ভাবার সময় খুঁজে নেন। নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। সাকিব-মাশরাফিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে উৎসাহ যোগান, অভিনন্দন জানান। সোমবার এক জনসভায় ভাষণের মাঝেও ক্রিকেট থেকে ঘুরে আসলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, দুই টেনশন; সিলেটে টেনশন, শ্রীলঙ্কাতেও টেনশন।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ২৬শে মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সিলেটে একটি বাড়িকে ঘিরে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। কয়েকদিন ধরে চলা এই অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর টেনশন না থাকার কারণ নেই। জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তির বিষয় জড়িয়ে এতে।
তবে শ্রীলঙ্কায় থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী টেনশনটা হয়তো অন্য জায়গায়। তিনি মাশরাফিবাহিনীর আরেকটি সিরিজ জয়ের গৌরবে নাম লেখানো দেখতে উদগ্রীব হয়ে থাকবেন। মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামবে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে মাশরাফিরাই। শনিবার রাতে ওই জয়ের পর অধিনায়ক মাশরাফি ও ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিমের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বলেছেন। কয়েকদিন আগে নিজেদের শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পরও টাইগার দলকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন তিনি। সেসময় টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক ও অলরাউন্ডার সাকিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন।