রাজধানীর বনানী এলাকার ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই তরুণীর দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি সাফাত আহমেদ পলাতক অবস্থায় সোমবার সিলেটে এসেছিলো বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায়, সোমবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলামের ঠাকুর বাড়ি টিল্লাপাড়ার ‘রিজেন্ট পার্ক রিসোর্ট’ এ থাকার জন্য রুম ভাড়া নিতে সাফাত ও আরো ৪ যুবক এসেছিলো বলে নিশ্চিত করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। সাফাত আহমেদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে।
তবে অভিযুক্ত ৩ জনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রিজেন্ট পার্ক রিসোর্ট এর ম্যানেজিং পার্টনার হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে ৫ জন যুবক রুম ভাড়া করতে রিসোর্টে আসে। এ সময় তারা তাদের পরিচয়পত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় তাদেরকে রুম ভাড়া দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ওরা চলে যাওয়ার পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বনানীতে তরুণী ধর্ষণে অভিযুক্তদের ছবি দেখে নিশ্চিত হতে পারি রিসোর্টে আসা যুবকদের একজন সাফাত আহমেদ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা জানান, সাফাত সিলেটে আছে এমন তথ্য পুলিশ জানতে পেরেছে তবে নিশ্চিত হতে পারেনি। সে রিজেন্ট রিসোর্টে রুম ভাড়া করতে গিয়েছিলো বলেও শোনা গেছে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক শিবলী জানান, পুলিশ সাফাতের গ্রামের বাড়িটি নজরদারিতে রেখেছে। বাড়িতে সাফাত নেই বলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ সর্তকাবস্থায় রয়েছে।
ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ: পার্টিতে দাওয়াত করে গত ২৮ মার্চ তাদেরকে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে নেওয়া হয়। এরপর তাদের পূর্বপরিচিত সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে রাতভর তাদের আটকে রেখে মারধর করে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্ত দু্ই তরুণের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালকও ছিল। তাদের একজন ঘটনাটি ভিডিও করে রাখে।
এ বিষয়ে গত শনিবার তারা বনানী থানায় মামলা করেন। মামলা করতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে তারা বলেন, তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ঘটনা প্রকাশ করলে তাদের মেরে ফেলা হবে।