সিলেট সিক্সার্স: ২০৫/৬
রাজশাহী কিংস: ১৭২/৮
৩৩ রানে জয়ী সিলেট
উপুল থারাঙ্গা এবং আন্দ্রে ফ্লেচারের শতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর আবুল হাসান, প্লাঙ্কেট, নাসিরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। হ্যাট্রিক জয়ের পথে এই সিলেট সুন্দর, এই সিলেট অপ্রতিরোধ্য।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা বাদে সবাইকে হারতে হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেট টস হারার পর চায়ের দেশে তাই চিন্তার মেঘ ভর করেছিল। কিন্তু কোথায় কী? শিশিরের প্রভাব উপেক্ষা করে রাজশাহী কিংসকে ৩৩ রানে হারিয়ে উপচে পড়া গ্যালারিকে আরেকটি জয়ের আনন্দে ভাসায় দলটি। রাজশাহীর এটি টানা দ্বিতীয় হার।
সিলেট ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় উপুল থারাঙ্গা এবং ফ্লেচারের ১০১ রানের জুটিতে। এই আসরে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোর।
আগে বিপিএলে দুইশর উপর আরও আটটি সংগ্রহ দেখা গেছে। যার সর্বোচ্চটি ঢাকার, ২১৭/৪; রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২০১৩ সালে। তখন অবশ্য দলটির নাম ছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
এদিন ১১তম ওভারে ফ্লেচারকে ফেরাতে সক্ষম হয় রাজশাহী। তাও রানআউটে। মিরাজের ‘থ্র’ থেকে ব্রেকথ্রু আনেন মুশফিক। ৩০ বলে পাঁচ চার তিন ছক্কায় ৪৮ রান করে যান ফ্লেচার। ৩৭ বলে ৫০ করে তবেই বিদায় নেন থারাঙ্গা। অর্ধশতকের ইনিংসে পাঁচটি চার একটি ছয় ছিল তার।
সিলেটের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। সাব্বির এবং গুনাথিলাকা সিঙ্গেল নিয়ে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। সাব্বির ১৪ বলে ১৬ করে ফিরলেও গুনাথিলাকা রান বাড়িয়ে নেন। ২২ বলে ৪২ করে যান তিনি। এরপর শুরু করেন হুইটলি। ১২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের স্কোর ২০০ পার করেন।
জবাব দিতে নেমে মুমিনুল হক এবং লুক রাইট ৫ ওভারে ৫০ তুলে রাজশাহীকে পথে রাখেন। প্লাঙ্কেটকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে যেয়ে নাসিরের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল। এক চার দুই ছয়ে ১৬ বলে ২৪ করে যান। এরপর রনি তালুকদার (০) এবং মুশফিক (১১) দ্রুত ফিরলে বিপদ বাড়ে রাজশাহীর। আশা বাঁচিয়ে রাখেন ৩৬ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো ওই রাইট।
১৫তম ওভারে রাব্বির বলে লংঅনে বেঁচে যান রাইট। আকাশ থেকে নেমে আসা বল বাউন্ডারি লাইনে নাসিরের হাত ফসকে ছয় হয়ে যায়। এক বল বাদে ফের বড় শট খেলতে যেয়ে ধরা পড়েন তিনি। এবার আটকে যান প্লাঙ্কেটের হাতে।
২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন আবুল হাসান। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে প্লাঙ্কেটের খরচ ২৯। নাসির ৩৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
এমন বোলিংয়ের সামনে শেষ দিকে নিউ জিল্যান্ডের জেমস ফ্রাঙ্কলিন চেষ্টা চালান। ২৩ বলে ৩৫ করার পর ড্যারেন স্যামির ভুল ‘কলে’ রানআউট হন। স্টাম্পের দরজায় বল রেখে রানআউটের ডাক দেন রাজশাহী কাপ্তান। বোলার প্লাঙ্কেট রানআপের গতি না থামিয়ে পা দিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন। ধীরে ধীরে ভেঙে যায় রাজশাহীর প্রথম জয়ের স্বপ্নও!
পয়েন্ট টেবিল
১. সিলেট (তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)
২. ঢাকা (দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট)
৩. রংপুর (এক ম্যাচে ২ পয়েন্ট)
৪. কুমিল্লা (দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট)
৫. রাজশাহী (দুই ম্যাচে ০ পয়েন্ট)
৬. চিটাগাং (১ ম্যাচে ০ পয়েন্ট)
৭. খুলনা (১ ম্যাচে ০ পয়েন্ট)