সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে ইতোমধ্যে কাজ চলছে। উদ্ধারকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে সোমবার বিকেলের মধ্যে লাইন স্বাভাবিক হওয়ার এ তথ্য জানান সচিব।
রেল সচিব বলেন, ‘‘উপবন এক্সপ্রেসের পাঁচটি বগি পড়ে গেছে। এগুলো তুলতে দু’টি ক্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিকেল পাঁচটার মধ্যে পুনরায় চালুর চেষ্টা করা হবে।’’
সকাল নয়টার দিকে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশন থেকে রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন এবং রেলের মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলমসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা র্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন। এ সময় রেল সচিব এ কথা বলেন।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার রাতে কুলাউড়ায় ব্রিজ ভেঙে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ১টি বগি খালে পড়ে এবং আরও কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
পুলিশ ও এলাকাসী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে ইসলামাবাদ এলাকায় পৌছলে পেছন দিকের বগিতে বিকট শব্দ হয়।
এর কিছুক্ষণের মধ্যে সামনে বড়ছড়া ব্রীজ ভেঙ্গে নীচে ১টি বগি পড়ে যায়। আরো ৩টি বগি ব্রীজের পাশে উল্টে দুমড়েমুচড়ে পড়ে। অন্য আরো দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের লোকাল ইনচার্জ দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, ট্রেনে মোট ১৭ বগির মধ্যে ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
রাতভর স্থানীয় মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটসহ পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সিলেটের সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে উদ্ধারকারী ট্রেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইলের শাহবাজপুরে বেইলি ব্রিজ ভাঙার কারণে ঢাকা-সিলেট সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা ছিল দ্বিগুণ।